০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

রাঙ্গুনিয়া “বাদুড়ের গুহা” পরিদর্শনে ইউএনও

প্রতিনিধির নাম

পাহাড়, নদীবিধৌত ভূমিখণ্ড ও চারদিকে সবুজকুঞ্জ সমরহ নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জনপদ। ১ হাজার বছরের পুরোনো প্রত্নতত্ত্ব ও ঐতিহাসিক নিদর্শন বুকে ধারণ করে আছে এই অনিন্দ্য সুন্দর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।

তেমনি একটি নিদর্শন সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র সন্ধান পাওয়া গেছে রাঙ্গুনিয়া দক্ষিণাঞ্চলে বাদুড়ের গুহা। ভ্রমনপ্রিয়াসু মানুষের মধ্যে অনেকে এডভেঞ্চার পছন্দ করে। গত ৪ বছর আগে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খুরশিয়া পেকুয়াপাড়া হতে ৮-১০ কিলোমিটার পশ্চিমে পটিয়া সামীন্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পায় স্থানীয় মার্মা জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে। বাদুড়ের আস্তানা হাওয়ায় স্থানীয়রা এটিকে ‘বাদুড় গুহা’ নামকরণ করে।

এরপর গত ২০২০ প্রথম বারের মত ইতিহাস গবেষক, রূপালী রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক এনায়েতুর রহিম, মুবিন বিন সোলাইমান ও জাবেদ সহ একটি দুঃসাহসিক টিম সুড়ঙ্গের সন্ধানে অভিযান করে ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই থেকে বাদুড়ের গুহাতে এডভেঞ্চার প্রেমী পর্যটকের বেড়েছে আনাগোনা।

এনায়েতুর রহিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ড. আহমদ শরীফ এর লেখা “চট্টগ্রামের ইতিহাস” নামক বইয়ে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রামের হাজার বছরের ইতিহাস, রাঙ্গুনিয়ার ইতিহাসে তিনি কর্ণফুলী নদীর উজানে পূর্বে দক্ষিণ অঞ্চলে একটি গুহার কথা উল্লেখ করেছেন। আরকান রাজা সমুদ্রের জাহাজ থেকে সম্পদ লুণ্ঠন করে এই গুহাতে রাখতো, এছাড়া মুঘল আমলে বাদশাহ শাহ্ সুজা তার তিন কন্যাকে নিয়ে পালিয়ে রাঙ্গুনিয়ায় আসের কথা উল্লেখ করেছেন, পরে মগ রাজা তার কন্যাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, পরে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তার দুই কন্যাকে হত্যা করেছে ওই গুহাতে। পরিদর্শন কালে দেখা যায়, প্রথম গুহাটি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিটার উঁচু গুহা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ মিটার, প্রস্থ গড়ে ৪ থেকে ৫ ফুট, এবং প্রথম গুহা হতে দ্বিতীয় গুহা দ্বিগুণ বড় যেন দুই তলা বিশিষ্ট। পুরো গুহার রাজ্যজুড়ে অন্ধকার। আলোর ভরসা মশাল। বের হওয়ার তেমন উপায় নেই। ফিরতে হবে একই পথে। সরকার চাইলে এটিকে গবেষণার মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ অর্জন করতে পারে, পরে সংস্কার করে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পর্যটন খাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

গত ৩ মার্চ (শুক্রবার) ২০২৩ইং তারিখ সকাল ৮ টায় ছুটির দিনের অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: হিন্দোল বারী, সমাজসেবা অফিসার মুহাম্মদ হাসান, পল্লীবিদ্যুত এর ডিজিএম জুয়েল দাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: নিজামউদ্দিন, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ওবায়দুল ইসলামকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গণি ওসমানী, সাথে ছিল সাংবাদিক মুবিন বিন সোলাইমান, আল মামুন, পুলিশ সদস্য, ইউপি সদস্য নুরুল আবছার, গ্রাম পুলিশ সৈয়দ আলী, রিফাত ও স্থানীয় গাইড সাইমুম মার্মা।

এই সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গণি ওসমানী বলেন, “গুহাটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। যেকোনো পর্যটক এখানে আসলে রোমাঞ্চের ছোঁয়া পাবে। পর্যটকদের কাছে গুহার সৌন্দর্য নয়নাভিরামের কারণে নতুন আর্কষণ হতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, এখানে আগত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো গুহায় আসতে অবশ্যই হাঁটার অভ্যাস থাকতে হবে, পাহাড় ট্র্যাকিং এর জন্য সুজ, প্রয়োজনীয় খাবার পানি ও শুকনো খাবার সাথে আনলে ভাল হয়। এছাড়া গুহায় যেতে অনেকই পথ ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা আছে তাই পথ নির্দেশনা মূলক বোর্ড ও পর্যটকদের যাতায়াতসহ অন্যন্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন পক্ষ হতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। তবে প্রকৃতির কোনো ধরনের ক্ষতি না করে প্রকৃতিবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: হিন্দোল বারী বলেন, “এর আগেও একবার এসেছি এখানে, পাহাড় ভেদ করে এই গুহা সৌন্দর্য দেখে হতবাক হবেন যে কেউ। মশাল নিয়ে গুহার ভেতরে যেতেই চমকে দেবে গুহার ভেতরে শীতল পরিবেশ। কিছুদূর যেতেই গুহা আরও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। তবে চোখ আটকে যাবে গুহার ওপরের অংশ দেখে, নিপুণ শিল্পীর মতো পাহাড়ের ওপরের খাঁজ কাটা।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, গুহার প্রাকৃতিক গঠন ও রোমাঞ্চ ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না, যেতে যেতে মনে হবে এ কোন অচেনা পৃথিবী! গুহাজুড়ে বাদুড়ের আস্তানা। রোমাঞ্চকর দৃশ্য চোখে পড়বে বাদুড়ের গুহায় ঢোকার আগে। পুরো গুহা ঘুরে আসতে বেশ সময় লাগবে, উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে নামার কষ্টটা ঠিক পুষিয়ে যাবে।

বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক গুহায় যেতে চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই হয়ে ৪৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন এলাকা হতে সরফভাটা কালিন্দি রানী সড়ক হয়ে ২০ কিলোমিটার গেলেই পদুয়া ইউনিয়ন, রাজারহাট ব্রিজের পাশদিয়ে গেলেই খুরশিয়া দ্বাড়িকুপ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে কেলিশহর বনবিট থেকে পায়ে হেঁটে সেখান থেকে সবুজে মোড়ানো পথ ধরে যেতে হবে প্রায় ১০ কিমি। “দোচাইল্লা” নামক উঁচু পাহাড় বেয়ে নামতে হবে অন্তত ৫শ’ ফুট। গভীর খাদে রয়েছে টারশিয়ান যুগের কালো পাথর। তার পাশে বয়ে গেছে “ভান্ডালজুড়ি” ঝিড়ি, এই ঝিড়ি দিয়ে হেঁটে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ বেয়ে গুহায় পৌঁছাতে হয়। স্থানীয় গাইডরা পর্যটকদের গুহায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০১:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
৮৮ বার পড়া হয়েছে

রাঙ্গুনিয়া “বাদুড়ের গুহা” পরিদর্শনে ইউএনও

আপডেট : ০১:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

পাহাড়, নদীবিধৌত ভূমিখণ্ড ও চারদিকে সবুজকুঞ্জ সমরহ নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার জনপদ। ১ হাজার বছরের পুরোনো প্রত্নতত্ত্ব ও ঐতিহাসিক নিদর্শন বুকে ধারণ করে আছে এই অনিন্দ্য সুন্দর রাঙ্গুনিয়া উপজেলা।

তেমনি একটি নিদর্শন সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্র সন্ধান পাওয়া গেছে রাঙ্গুনিয়া দক্ষিণাঞ্চলে বাদুড়ের গুহা। ভ্রমনপ্রিয়াসু মানুষের মধ্যে অনেকে এডভেঞ্চার পছন্দ করে। গত ৪ বছর আগে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খুরশিয়া পেকুয়াপাড়া হতে ৮-১০ কিলোমিটার পশ্চিমে পটিয়া সামীন্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের সন্ধান পায় স্থানীয় মার্মা জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে। বাদুড়ের আস্তানা হাওয়ায় স্থানীয়রা এটিকে ‘বাদুড় গুহা’ নামকরণ করে।

এরপর গত ২০২০ প্রথম বারের মত ইতিহাস গবেষক, রূপালী রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক এনায়েতুর রহিম, মুবিন বিন সোলাইমান ও জাবেদ সহ একটি দুঃসাহসিক টিম সুড়ঙ্গের সন্ধানে অভিযান করে ডকুমেন্টারি ভিডিও তৈরি করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই থেকে বাদুড়ের গুহাতে এডভেঞ্চার প্রেমী পর্যটকের বেড়েছে আনাগোনা।

এনায়েতুর রহিম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ড. আহমদ শরীফ এর লেখা “চট্টগ্রামের ইতিহাস” নামক বইয়ে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রামের হাজার বছরের ইতিহাস, রাঙ্গুনিয়ার ইতিহাসে তিনি কর্ণফুলী নদীর উজানে পূর্বে দক্ষিণ অঞ্চলে একটি গুহার কথা উল্লেখ করেছেন। আরকান রাজা সমুদ্রের জাহাজ থেকে সম্পদ লুণ্ঠন করে এই গুহাতে রাখতো, এছাড়া মুঘল আমলে বাদশাহ শাহ্ সুজা তার তিন কন্যাকে নিয়ে পালিয়ে রাঙ্গুনিয়ায় আসের কথা উল্লেখ করেছেন, পরে মগ রাজা তার কন্যাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়, পরে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তার দুই কন্যাকে হত্যা করেছে ওই গুহাতে। পরিদর্শন কালে দেখা যায়, প্রথম গুহাটি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিটার উঁচু গুহা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ মিটার, প্রস্থ গড়ে ৪ থেকে ৫ ফুট, এবং প্রথম গুহা হতে দ্বিতীয় গুহা দ্বিগুণ বড় যেন দুই তলা বিশিষ্ট। পুরো গুহার রাজ্যজুড়ে অন্ধকার। আলোর ভরসা মশাল। বের হওয়ার তেমন উপায় নেই। ফিরতে হবে একই পথে। সরকার চাইলে এটিকে গবেষণার মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ অর্জন করতে পারে, পরে সংস্কার করে পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে পর্যটন খাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

গত ৩ মার্চ (শুক্রবার) ২০২৩ইং তারিখ সকাল ৮ টায় ছুটির দিনের অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: হিন্দোল বারী, সমাজসেবা অফিসার মুহাম্মদ হাসান, পল্লীবিদ্যুত এর ডিজিএম জুয়েল দাস, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: নিজামউদ্দিন, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ওবায়দুল ইসলামকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গণি ওসমানী, সাথে ছিল সাংবাদিক মুবিন বিন সোলাইমান, আল মামুন, পুলিশ সদস্য, ইউপি সদস্য নুরুল আবছার, গ্রাম পুলিশ সৈয়দ আলী, রিফাত ও স্থানীয় গাইড সাইমুম মার্মা।

এই সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গণি ওসমানী বলেন, “গুহাটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। যেকোনো পর্যটক এখানে আসলে রোমাঞ্চের ছোঁয়া পাবে। পর্যটকদের কাছে গুহার সৌন্দর্য নয়নাভিরামের কারণে নতুন আর্কষণ হতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, এখানে আগত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো গুহায় আসতে অবশ্যই হাঁটার অভ্যাস থাকতে হবে, পাহাড় ট্র্যাকিং এর জন্য সুজ, প্রয়োজনীয় খাবার পানি ও শুকনো খাবার সাথে আনলে ভাল হয়। এছাড়া গুহায় যেতে অনেকই পথ ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা আছে তাই পথ নির্দেশনা মূলক বোর্ড ও পর্যটকদের যাতায়াতসহ অন্যন্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন পক্ষ হতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি। তবে প্রকৃতির কোনো ধরনের ক্ষতি না করে প্রকৃতিবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: হিন্দোল বারী বলেন, “এর আগেও একবার এসেছি এখানে, পাহাড় ভেদ করে এই গুহা সৌন্দর্য দেখে হতবাক হবেন যে কেউ। মশাল নিয়ে গুহার ভেতরে যেতেই চমকে দেবে গুহার ভেতরে শীতল পরিবেশ। কিছুদূর যেতেই গুহা আরও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। তবে চোখ আটকে যাবে গুহার ওপরের অংশ দেখে, নিপুণ শিল্পীর মতো পাহাড়ের ওপরের খাঁজ কাটা।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, গুহার প্রাকৃতিক গঠন ও রোমাঞ্চ ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না, যেতে যেতে মনে হবে এ কোন অচেনা পৃথিবী! গুহাজুড়ে বাদুড়ের আস্তানা। রোমাঞ্চকর দৃশ্য চোখে পড়বে বাদুড়ের গুহায় ঢোকার আগে। পুরো গুহা ঘুরে আসতে বেশ সময় লাগবে, উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে নামার কষ্টটা ঠিক পুষিয়ে যাবে।

বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক গুহায় যেতে চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই হয়ে ৪৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন এলাকা হতে সরফভাটা কালিন্দি রানী সড়ক হয়ে ২০ কিলোমিটার গেলেই পদুয়া ইউনিয়ন, রাজারহাট ব্রিজের পাশদিয়ে গেলেই খুরশিয়া দ্বাড়িকুপ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে কেলিশহর বনবিট থেকে পায়ে হেঁটে সেখান থেকে সবুজে মোড়ানো পথ ধরে যেতে হবে প্রায় ১০ কিমি। “দোচাইল্লা” নামক উঁচু পাহাড় বেয়ে নামতে হবে অন্তত ৫শ’ ফুট। গভীর খাদে রয়েছে টারশিয়ান যুগের কালো পাথর। তার পাশে বয়ে গেছে “ভান্ডালজুড়ি” ঝিড়ি, এই ঝিড়ি দিয়ে হেঁটে পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ বেয়ে গুহায় পৌঁছাতে হয়। স্থানীয় গাইডরা পর্যটকদের গুহায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসে।