১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
শিক্ষক পেটানো সেই ইউ পি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন কারাগারে
প্রতিনিধির নাম
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া মামলার প্রধান আসামি মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান ও রাসেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আজাহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৬ মে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে নির্যাতনের পর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ২০২২ সালের একুশে মার্চ সন্ধ্যায় ইউপি সচিব ইকবাল হোসেনকে আর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে পরিষদের পক্ষে আটকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন একই কায়দায় পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় ইউপি সচিব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা মামলা করেন।পরে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া ২০১৯ সালে কয়রা কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক কে কোর্ট থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথেএই চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে তার উপর হামলা করে তার একটি পা ভেঙে দেন এবং অনেক মারধর করেন পরে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা করেন।তিনি ওই মামলায়ও গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন খুলনা জেলা কারাগারে থাকেন পরে জামিন নিয়ে বের হন।
ট্যাগস :