০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষা উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছেন এডিইউএসটি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামরান চৌধুরী

প্রতিনিধির নাম

দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৩০ বছর আগে। শুরুতে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও এখন তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিগুণ। তবে তিনটি অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে দেশে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সমান। সরকারি কোনো সুবিধা না নিয়েই মানের দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।এরমধ্যে অন্যতম অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।  তাদের দৃষ্টিনন্দন নিজস্ব ক্যাম্পাস, মানসম্পন্ন শিক্ষক, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি সুবিধা ও নিয়মানুবর্তিতায় তারা অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কেও পেছনে ফেলেছে। কর্মমুখী শিক্ষার কারণে দেশ-বিদেশের চাকরির বাজারেও দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছেন এবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশনস মো: কামরান চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষনা ইন্সটিটিউটেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।দেশের  শিক্ষা উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় গুণী এমানুষটি সামাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক সমাদৃত।

দেশের বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আছে। কারণ চাকরির বাজারে যেসব বিষয়ের চাহিদা আছে, সেগুলোই তারা চালু করছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ফার্মেসি থেকে শুরু করে রোবটিকসের মতো বিষয়গুলো তারা খুলেছে। স্কিলড ম্যানপাওয়ার তৈরিতে যেসব বিষয় কাজে লাগে, সেগুলোর অনুমোদনই তারা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলার এবং এক্সট্রা-কারিকুলারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করছেন। বিভিন্ন ক্লাবের মাধ্যমে তারা কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং স্কিল অর্জন করেন, যা তাদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা বেশ স্মার্ট হন। ইংরেজিতে কথা বলা থেকে শুরু করে তারা জানেন, কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়। ফলে চাকরির বাজারে তারাই ডমিনেট করছেন।

একান্ত আলাপচারিতায় কামরান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।বেসরকারিভাবে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের প্রথম সারির এবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর একে একে আরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হতে থাকে। আজ ফলস্বরূপ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমানতালে উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দেশে বসে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হিসাবে গড়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই এবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ হতে উৎসাহিত করি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত মেধাবী।  কর্মসংস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিষয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কলা ও মানবিক বিভাগ বা সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো বেশি। চাকরির বাজারে চাহিদা না থাকলেও বেশ কয়েকটি বিষয় চালু আছে। তবে নতুন নতুন বিষয় খোলা হলেও তা চলছে খুবই সীমিত পরিসরে। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরুতেই চাকরির বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিষয়গুলোর অনুমোদন নিচ্ছে। বিশ্বের চাকরির বাজার যেদিকে যাচ্ছে বা নতুন যেসব বিষয় চালু হচ্ছে, তা দ্রুততার সঙ্গে খোলার চেষ্টা করছে তারা। একই সঙ্গে চাকরির বাজারের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালনা করছে তারা। যেদিক দিয়ে পিছিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সহজেই চাকরির বাজার ঢুকতে পারছেন  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষা উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখছেন এডিইউএসটি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামরান চৌধুরী

আপডেট : ০৭:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৩০ বছর আগে। শুরুতে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও এখন তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিগুণ। তবে তিনটি অধিভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদে দেশে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সমান। সরকারি কোনো সুবিধা না নিয়েই মানের দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।এরমধ্যে অন্যতম অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।  তাদের দৃষ্টিনন্দন নিজস্ব ক্যাম্পাস, মানসম্পন্ন শিক্ষক, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি সুবিধা ও নিয়মানুবর্তিতায় তারা অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কেও পেছনে ফেলেছে। কর্মমুখী শিক্ষার কারণে দেশ-বিদেশের চাকরির বাজারেও দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছেন এবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছেন কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশনস মো: কামরান চৌধুরী। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষনা ইন্সটিটিউটেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।দেশের  শিক্ষা উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় গুণী এমানুষটি সামাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে ব্যাপক সমাদৃত।

দেশের বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আছে। কারণ চাকরির বাজারে যেসব বিষয়ের চাহিদা আছে, সেগুলোই তারা চালু করছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ফার্মেসি থেকে শুরু করে রোবটিকসের মতো বিষয়গুলো তারা খুলেছে। স্কিলড ম্যানপাওয়ার তৈরিতে যেসব বিষয় কাজে লাগে, সেগুলোর অনুমোদনই তারা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলার এবং এক্সট্রা-কারিকুলারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করছেন। বিভিন্ন ক্লাবের মাধ্যমে তারা কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং স্কিল অর্জন করেন, যা তাদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা বেশ স্মার্ট হন। ইংরেজিতে কথা বলা থেকে শুরু করে তারা জানেন, কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়। ফলে চাকরির বাজারে তারাই ডমিনেট করছেন।

একান্ত আলাপচারিতায় কামরান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।বেসরকারিভাবে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের প্রথম সারির এবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর একে একে আরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হতে থাকে। আজ ফলস্বরূপ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমানতালে উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দেশে বসে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হিসাবে গড়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই এবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষায় দক্ষ হতে উৎসাহিত করি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও অত্যন্ত মেধাবী।  কর্মসংস্থানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিষয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে এগিয়ে আছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কলা ও মানবিক বিভাগ বা সামাজিক বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো বেশি। চাকরির বাজারে চাহিদা না থাকলেও বেশ কয়েকটি বিষয় চালু আছে। তবে নতুন নতুন বিষয় খোলা হলেও তা চলছে খুবই সীমিত পরিসরে। অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরুতেই চাকরির বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিষয়গুলোর অনুমোদন নিচ্ছে। বিশ্বের চাকরির বাজার যেদিকে যাচ্ছে বা নতুন যেসব বিষয় চালু হচ্ছে, তা দ্রুততার সঙ্গে খোলার চেষ্টা করছে তারা। একই সঙ্গে চাকরির বাজারের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে নানা সহশিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালনা করছে তারা। যেদিক দিয়ে পিছিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে সহজেই চাকরির বাজার ঢুকতে পারছেন  বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।