০৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বরস্বতী পূঁজা উপলক্ষে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা শুরু হয়েছে

প্রতিনিধির নাম

জানা গেছে, মেলা উপলক্ষে বুধবার বিকেল থেকে নামিদামি ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে তাড়াশের প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা শুরু হয়েছে। দিনব্যাপী মেলায় দইসহ রসনা বিলাসী খাবার ঝুরি, মুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খেজুরের গুড়সহ বাহারি সব খাবার বেচাকেনা হচ্ছে। এ দই মেলা নিয়ে রয়েছে নানা গল্পকাহিনী।

তাড়াশ সনাতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক সনাতন দাস জানান, তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে জমিদার রাজা রায় বাহাদুর দই ও মিষ্টান্ন পছন্দ করতেন। জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলে ঘোষদের তৈরি দই পরিবেশন করা হতো। আর ওেই সময় থেকেই জমিদার বাড়ির সম্মুখে রশিক লাল রায় মন্দিরের পার্শ্বের মাঠে স্বরস্বতী পুঁজা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী দই মেলা বসাতেন। সেই থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমের মাঘ মাসে পঞ্চমী তিথিতে দই মেলায় পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর থেকে ঘোষেরা দই এনে মেলায় পসরা বসিয়ে বেচাকেনা করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন ক্ষীরসা দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, শ্রীপুরী, ডায়বেটিস দই সহ এ হরেক রকমের দই বিক্রি হয় । বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, চান্দাইকোনা, শ্রীপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দই প্রচুর বেচাকেনা হয়।

স্থানীয় দই বিক্রেতা আনন্দ ঘোষ বলেন, দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বৃদ্ধিও পাচ্ছে। তবে চাহিদা ও সুনাম থাকায় কোনো ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না। ফলে মেলার আগেই ঘোষেরা দই তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
১১৫ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বরস্বতী পূঁজা উপলক্ষে ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা শুরু হয়েছে

আপডেট : ০৩:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

জানা গেছে, মেলা উপলক্ষে বুধবার বিকেল থেকে নামিদামি ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে তাড়াশের প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দইয়ের মেলা শুরু হয়েছে। দিনব্যাপী মেলায় দইসহ রসনা বিলাসী খাবার ঝুরি, মুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খেজুরের গুড়সহ বাহারি সব খাবার বেচাকেনা হচ্ছে। এ দই মেলা নিয়ে রয়েছে নানা গল্পকাহিনী।

তাড়াশ সনাতন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক সনাতন দাস জানান, তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর প্রথম দই মেলার প্রচলন করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে জমিদার রাজা রায় বাহাদুর দই ও মিষ্টান্ন পছন্দ করতেন। জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে এ অঞ্চলে ঘোষদের তৈরি দই পরিবেশন করা হতো। আর ওেই সময় থেকেই জমিদার বাড়ির সম্মুখে রশিক লাল রায় মন্দিরের পার্শ্বের মাঠে স্বরস্বতী পুঁজা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী দই মেলা বসাতেন। সেই থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমের মাঘ মাসে পঞ্চমী তিথিতে দই মেলায় পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর থেকে ঘোষেরা দই এনে মেলায় পসরা বসিয়ে বেচাকেনা করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন ক্ষীরসা দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, শ্রীপুরী, ডায়বেটিস দই সহ এ হরেক রকমের দই বিক্রি হয় । বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, চান্দাইকোনা, শ্রীপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দই প্রচুর বেচাকেনা হয়।

স্থানীয় দই বিক্রেতা আনন্দ ঘোষ বলেন, দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও বৃদ্ধিও পাচ্ছে। তবে চাহিদা ও সুনাম থাকায় কোনো ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না। ফলে মেলার আগেই ঘোষেরা দই তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।