০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

‘স্কাউটিং করবো’, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো’ এই থিমকে নিয়ে আজ ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস-২০২৩’ অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম

বাংলাদেশ স্কাউট দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের স্কাউট ইউনিট, উপজেলা, জেলা আঞ্চলিক স্কাউট ও জাতীয় সদর দফতর বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে। দিনের শুরুতে জাতীয় স্কাউট ভবনে সকাল ৮-৩০ ঘটিকায় স্কাউট ও স্কাইটারদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান ও স্কাউট পতাকা উত্তোলন করেন ড. মোঃ শাহ কামাল।এসময় স্কাউটরা গ্র্যান্ড ইয়েল ও প্রার্থনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, প্রধান জাতীয় কমিশনার ডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহ কামাল ও জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ, জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) বাংলাদেশ স্কাউটস। এসময় অতিথিবৃন্দ ফেস্টুন,পায়না ও বেলুন উন্মুক্ত করে স্কাউট দিবসের সূচনা করেন।

সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. দীপু মনি এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। অনুষ্ঠানে স্কাউট কার্যক্রমের উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ, জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) বাংলাদেশ স্কাউটস। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম স্কাউট কাউন্সিলে যোগদান ও বাংলাদেশ স্কাউটস গঠনে সক্রিয় ভূমিকা এবং বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই অনুষ্ঠানে চারজন স্কাউটারকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় সম্মাননা ও ক্রেষ্ট গ্রহণ করেন ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জনাব এ কে এম সামিউল হক ও আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী। স্কাউট দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জনাব মোঃ কামাল হোসেন, সিনিয়র সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ও বাংলাদেশ স্কাউটস এর কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহ কামাল। এছাড়াও সম্মাননা গ্রহণ করে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জনাব এ কে এম সামিউল হক ও আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্কাউট দিবসে সকল স্কাউটকে শুতেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্কাউটিং এর মূল কর্মকাণ্ড হচ্ছে শৈশব, কৈশোর থেকে পরোপকারী মানুষ গড়ে তোলা। স্কাউটিং যুব সমাজকে সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে রাখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে দল খোলার ও সকল শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণের আওতায় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বর্তমান নতুন শিক্ষানীতি হচ্ছে দক্ষ ও মানবিক মানুষ গড়ে তোলা। আর স্কাউটিং রয়েছে নতুন শিক্ষা নীতির মর্মবাণী। তিনি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য স্কাউটিংকে সকল জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। একই সাথে সম্মাননা গ্রহণকারী স্কাউটার বৃন্দকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য স্কাউটদেরকে স্মার্ট নাগরিক হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, সম্মাননা গ্রহণকারীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সার্থক করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামীতে স্কাউট সংখ্যা দ্বিগুন হবে,যারা হবে আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির যোগ্য উত্তরসূরি এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যোগ্য সন্তান।দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও বিতর্ক প্রতিযেগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এই দিবস উপলক্ষে ইউনিট, ভোলা, উপজেলা ও অঞ্চলের উদ্যোগে ডে ক্যাম্প,ডকুমেন্টরী প্রদর্শন, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় টক শো আয়োজন, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনা সভার আয়োজন, স্কাউট ওন ও গুন্ডাটার্ণ ইত্যাদি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারিরীক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান,দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। শতবর্ষ পূর্বে ১৯০৭ সালে বৃটেনের ব্রাডন্সী দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেছেন। বর্তমান বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪৩ মিলিয়ন শিশু, কিশোর ও যুবরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহন করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল দেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে উক্ত সমিতি স্মারক স্বীকৃতি লাভ করে এবং নব উদ্যেগে স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিং এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্কাউট বিশ্ব স্কাউট সংস্হার ১০৫তম সদস্য। ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন জাতীয় কাউন্সিলের পঞ্চম সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস।বাংলাদেশ স্কাউটস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটস এর সদস্য সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৩৪ হাজার।সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ স্কাউটস এর অবস্থান বিশ্বে ৪র্থ।

বাংলাদেশ স্কাউট প্রতি বছর ৮ এপ্রিল কে বাংলাদেশ স্কাউট দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০২২ সালে প্রথমবারের মত দেশে উদযাপিত হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন স্কাউট সদস্য, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীগণ আজ দেশব্যাপী বর্ণাঢ্যভাবে দিবসটি উদযাপন করে।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
৭৮ বার পড়া হয়েছে

‘স্কাউটিং করবো’, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো’ এই থিমকে নিয়ে আজ ৮ এপ্রিল দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস-২০২৩’ অনুষ্ঠিত

আপডেট : ১২:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ স্কাউট দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের স্কাউট ইউনিট, উপজেলা, জেলা আঞ্চলিক স্কাউট ও জাতীয় সদর দফতর বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে। দিনের শুরুতে জাতীয় স্কাউট ভবনে সকাল ৮-৩০ ঘটিকায় স্কাউট ও স্কাইটারদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান ও স্কাউট পতাকা উত্তোলন করেন ড. মোঃ শাহ কামাল।এসময় স্কাউটরা গ্র্যান্ড ইয়েল ও প্রার্থনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, প্রধান জাতীয় কমিশনার ডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক খান, কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহ কামাল ও জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ, জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) বাংলাদেশ স্কাউটস। এসময় অতিথিবৃন্দ ফেস্টুন,পায়না ও বেলুন উন্মুক্ত করে স্কাউট দিবসের সূচনা করেন।

সকাল ১০.০০ ঘটিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. দীপু মনি এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান। অনুষ্ঠানে স্কাউট কার্যক্রমের উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ, জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) বাংলাদেশ স্কাউটস। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম স্কাউট কাউন্সিলে যোগদান ও বাংলাদেশ স্কাউটস গঠনে সক্রিয় ভূমিকা এবং বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই অনুষ্ঠানে চারজন স্কাউটারকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় সম্মাননা ও ক্রেষ্ট গ্রহণ করেন ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জনাব এ কে এম সামিউল হক ও আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী। স্কাউট দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জনাব মোঃ কামাল হোসেন, সিনিয়র সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ও বাংলাদেশ স্কাউটস এর কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ শাহ কামাল। এছাড়াও সম্মাননা গ্রহণ করে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জনাব এ কে এম সামিউল হক ও আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্কাউট দিবসে সকল স্কাউটকে শুতেচ্ছা জানিয়ে বলেন, স্কাউটিং এর মূল কর্মকাণ্ড হচ্ছে শৈশব, কৈশোর থেকে পরোপকারী মানুষ গড়ে তোলা। স্কাউটিং যুব সমাজকে সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে রাখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে দল খোলার ও সকল শিক্ষার্থীকে স্কাউট প্রশিক্ষণের আওতায় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বর্তমান নতুন শিক্ষানীতি হচ্ছে দক্ষ ও মানবিক মানুষ গড়ে তোলা। আর স্কাউটিং রয়েছে নতুন শিক্ষা নীতির মর্মবাণী। তিনি ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য স্কাউটিংকে সকল জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। একই সাথে সম্মাননা গ্রহণকারী স্কাউটার বৃন্দকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির জন্য স্কাউটদেরকে স্মার্ট নাগরিক হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, সম্মাননা গ্রহণকারীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সার্থক করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আগামীতে স্কাউট সংখ্যা দ্বিগুন হবে,যারা হবে আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির যোগ্য উত্তরসূরি এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যোগ্য সন্তান।দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও বিতর্ক প্রতিযেগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এই দিবস উপলক্ষে ইউনিট, ভোলা, উপজেলা ও অঞ্চলের উদ্যোগে ডে ক্যাম্প,ডকুমেন্টরী প্রদর্শন, বেতার ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় টক শো আয়োজন, ক্রোড়পত্র প্রকাশ, আলোচনা সভার আয়োজন, স্কাউট ওন ও গুন্ডাটার্ণ ইত্যাদি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারিরীক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান,দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। শতবর্ষ পূর্বে ১৯০৭ সালে বৃটেনের ব্রাডন্সী দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেছেন। বর্তমান বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪৩ মিলিয়ন শিশু, কিশোর ও যুবরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহন করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল দেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে উক্ত সমিতি স্মারক স্বীকৃতি লাভ করে এবং নব উদ্যেগে স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিং এর অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্কাউট বিশ্ব স্কাউট সংস্হার ১০৫তম সদস্য। ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন জাতীয় কাউন্সিলের পঞ্চম সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস।বাংলাদেশ স্কাউটস শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটস এর সদস্য সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৩৪ হাজার।সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ স্কাউটস এর অবস্থান বিশ্বে ৪র্থ।

বাংলাদেশ স্কাউট প্রতি বছর ৮ এপ্রিল কে বাংলাদেশ স্কাউট দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০২২ সালে প্রথমবারের মত দেশে উদযাপিত হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন স্কাউট সদস্য, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীগণ আজ দেশব্যাপী বর্ণাঢ্যভাবে দিবসটি উদযাপন করে।