১২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্ত্রীর জবানবন্দি 

প্রতিনিধির নাম
শাহজাদপুর  বেতকান্দি  করতোয়া নদী থেকে গত শনিবার দুপুরে হাত পা বাধা অবস্থায় শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার  করে পুলিশ। তার দুদিন পর হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার বিকেলে শাহজাদপুর আমলী আদালতে  নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা জবানবন্দি দেয়।  শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গোপাল চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন
 ফারাজানা বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।জবাবন্দী নেওয়ার পর ফারজানাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে নিহত শরিফুলের মা  সূর্য বানু  বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।সোমবার  ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফারজানাকে আদালতে হাজির করা হয়। নিহত শরিফুল ইসলাম উপজেলার আগনুকালী গ্রামের মৃত আবুসামার ছেলে।
জানা যায়, দেড়মাস আগে শরিফুলের সাথে ফারজানার বিয়ে হয়।গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে শরিফুল ইসলাম শ্বশুর বাড়ি চর-বেতকান্দিতে যায়। এরপর থেকেই শরিফুল নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৪ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সকালে শরিফুলের  জামা কাপড় খুঁজে পায় এলাকাবাসী। এরপর শনিবার সকালে করতোয়া নদীতে হাত-পা বাধা অবস্থায়  লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ  লাশ উদ্ধার করে। শরিফুলের স্বজনেরা  লাশটি  শনাক্ত করে।
শাহজাদপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ফারজানা সহ ৪জনকে আটক করা হয়। এই দিন নিহতের মা সূর্য বানু অজ্ঞাত আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা খাতুন গভীর রাতে শরিফুলকে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করে হাত পা বেঁধে করতোয়া নদীতে ডুবিয়ে হত্যার কথা  স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুর ১২টায় ফারজানা খাতুনকে থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ সময় আদালতে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে বিচারক তাকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন##
ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
১২৫৭ বার পড়া হয়েছে

স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্ত্রীর জবানবন্দি 

আপডেট : ০৮:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
শাহজাদপুর  বেতকান্দি  করতোয়া নদী থেকে গত শনিবার দুপুরে হাত পা বাধা অবস্থায় শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার  করে পুলিশ। তার দুদিন পর হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার বিকেলে শাহজাদপুর আমলী আদালতে  নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা জবানবন্দি দেয়।  শাহজাদপুর আমলী আদালতের বিচারক গোলাম রব্বানী জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই গোপাল চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন
 ফারাজানা বিজ্ঞ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।জবাবন্দী নেওয়ার পর ফারজানাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে নিহত শরিফুলের মা  সূর্য বানু  বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।সোমবার  ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফারজানাকে আদালতে হাজির করা হয়। নিহত শরিফুল ইসলাম উপজেলার আগনুকালী গ্রামের মৃত আবুসামার ছেলে।
জানা যায়, দেড়মাস আগে শরিফুলের সাথে ফারজানার বিয়ে হয়।গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে শরিফুল ইসলাম শ্বশুর বাড়ি চর-বেতকান্দিতে যায়। এরপর থেকেই শরিফুল নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৪ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সকালে শরিফুলের  জামা কাপড় খুঁজে পায় এলাকাবাসী। এরপর শনিবার সকালে করতোয়া নদীতে হাত-পা বাধা অবস্থায়  লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ  লাশ উদ্ধার করে। শরিফুলের স্বজনেরা  লাশটি  শনাক্ত করে।
শাহজাদপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ফারজানা সহ ৪জনকে আটক করা হয়। এই দিন নিহতের মা সূর্য বানু অজ্ঞাত আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে নিহত শরিফুলের স্ত্রী ফারজানা খাতুন গভীর রাতে শরিফুলকে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা করে হাত পা বেঁধে করতোয়া নদীতে ডুবিয়ে হত্যার কথা  স্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুর ১২টায় ফারজানা খাতুনকে থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘ সময় আদালতে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় সে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে বিচারক তাকে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন##