১২:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

হবিগঞ্জে গুইংঙ্গাজুড়ি হাওরে কৃষি জমি ও জলাশয় থেকে মাটি,বালু উত্তোলনে প্রস্তুতি জেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে কৃষকদের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম

হবিগঞ্জের গুইংঙ্গাজুড়ি হাওরে কৃষি জমি ও জলাশয় থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনে প্রস্তুতি গ্রহণ করায় জেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতা তাজুল ইসলাম ও আব্দুল মালেকসহ আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ৫২জন কৃষক ও এলাকাবাসির পক্ষে গত ১লা মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগটি করেন অমৃতা গ্রামের মাওলানা গোলাম সারওয়ার নামে এক ব্যক্তি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী একই বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অপর একটি লিখিত অভিযোগ করেন একই গ্রামের মো. মতিউর রহমান।

 

অভিযোগকারীরা বলেন, জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি হাওরের কৃষি জমিতে বড় ড্রেজার মেশিন ও প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ধানের জমির উপর দিয়ে ১৮ ইঞ্চি পাইপ স্থাপন করেন। ড্রেজার মেশিন ও পাইপ স্থাপন করতে যেয়ে আমাদের বোরো ধানের অনেক জমি নষ্ট হয়ে গেছে। যদি পাশের জলাশয় ও কৃষি জমি ও আমাদের জমির পাশ থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে। আকিজ বেভারেজ, কাজী ফার্ম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হবিগঞ্জ অংশের চারলেন কাজের জন্য বালি বিক্রি করা হয় তাহলে হাওরের সকল জমি ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান তারা। এছাড়া তাদের নিজস্ব কৃষি জমিতে পাইপ স্থাপনে বাধা দেওয়ায় মাটি ও বালু উত্তোলন করতে ড্রেজার মেশিন চালু করতে পারেনি ঐ চক্রটি। এছাড়া এলাকার মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জহুর আলী,লেবু মিয়া, তৌরজ মিয়া, মাসুদ মিয়া, রহিম উদ্দিনসহ অনেক জমির মালিক ও কৃষকরা জনান, গুইংঙ্গাজুড়ি হাওর হবিগঞ্জ জেলার সব চেয়ে বড় হাওর। এখানে শুধু একটি ফসল হয়ে থাকে। বাকি সময় পানি থাকায় হাওরে প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ হয়ে থাকে। কৃষি জমি থেকে মাটি ও বালু তোলা হলে আমাদের আশপাশের সকল জমি ভেঙ্গে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন কৃষকরা। তবে জেলা মৎস্যজীবি লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিস্কার থেকে পদ ফিরে পাওয়া) তাজুল ইসলাম বলেন, হাওরে মা মাছ চাষ ও অভয়াশ্রম করার জন্য হাজার হাজার মৎস্যজীবিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১০০ খানি জমি কেনা হয়েছে। জলাশয় খনন করার জন্য জেলা প্রশাসন আমাদেরকে ১ মাসের অনুমতি দিয়েছেন, ১ মাসই আমার কাজ করবো। প্রশাসন তদন্ত করলে আমার কোন আপত্তি নেই বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেপ্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বাহুবল উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনপাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিনকে ঘঠনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, তার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
৯৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জে গুইংঙ্গাজুড়ি হাওরে কৃষি জমি ও জলাশয় থেকে মাটি,বালু উত্তোলনে প্রস্তুতি জেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে কৃষকদের অভিযোগ

আপডেট : ০৫:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

হবিগঞ্জের গুইংঙ্গাজুড়ি হাওরে কৃষি জমি ও জলাশয় থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনে প্রস্তুতি গ্রহণ করায় জেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতা তাজুল ইসলাম ও আব্দুল মালেকসহ আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ৫২জন কৃষক ও এলাকাবাসির পক্ষে গত ১লা মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগটি করেন অমৃতা গ্রামের মাওলানা গোলাম সারওয়ার নামে এক ব্যক্তি। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী একই বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অপর একটি লিখিত অভিযোগ করেন একই গ্রামের মো. মতিউর রহমান।

 

অভিযোগকারীরা বলেন, জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি হাওরের কৃষি জমিতে বড় ড্রেজার মেশিন ও প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ধানের জমির উপর দিয়ে ১৮ ইঞ্চি পাইপ স্থাপন করেন। ড্রেজার মেশিন ও পাইপ স্থাপন করতে যেয়ে আমাদের বোরো ধানের অনেক জমি নষ্ট হয়ে গেছে। যদি পাশের জলাশয় ও কৃষি জমি ও আমাদের জমির পাশ থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে। আকিজ বেভারেজ, কাজী ফার্ম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হবিগঞ্জ অংশের চারলেন কাজের জন্য বালি বিক্রি করা হয় তাহলে হাওরের সকল জমি ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান তারা। এছাড়া তাদের নিজস্ব কৃষি জমিতে পাইপ স্থাপনে বাধা দেওয়ায় মাটি ও বালু উত্তোলন করতে ড্রেজার মেশিন চালু করতে পারেনি ঐ চক্রটি। এছাড়া এলাকার মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জহুর আলী,লেবু মিয়া, তৌরজ মিয়া, মাসুদ মিয়া, রহিম উদ্দিনসহ অনেক জমির মালিক ও কৃষকরা জনান, গুইংঙ্গাজুড়ি হাওর হবিগঞ্জ জেলার সব চেয়ে বড় হাওর। এখানে শুধু একটি ফসল হয়ে থাকে। বাকি সময় পানি থাকায় হাওরে প্রাকৃতিকভাবেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ হয়ে থাকে। কৃষি জমি থেকে মাটি ও বালু তোলা হলে আমাদের আশপাশের সকল জমি ভেঙ্গে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন কৃষকরা। তবে জেলা মৎস্যজীবি লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (সদ্য বহিস্কার থেকে পদ ফিরে পাওয়া) তাজুল ইসলাম বলেন, হাওরে মা মাছ চাষ ও অভয়াশ্রম করার জন্য হাজার হাজার মৎস্যজীবিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১০০ খানি জমি কেনা হয়েছে। জলাশয় খনন করার জন্য জেলা প্রশাসন আমাদেরকে ১ মাসের অনুমতি দিয়েছেন, ১ মাসই আমার কাজ করবো। প্রশাসন তদন্ত করলে আমার কোন আপত্তি নেই বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেপ্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বাহুবল উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনপাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিনকে ঘঠনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, তার প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।