০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

হাওরাঞ্চল থেকে কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু পাখি

প্রতিনিধির নাম
হাওরের ঘেরা জনপথ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরাঞ্চলে এক সময় প্রচুর ঘুঘু পাখি দেখা যেত।আবার কেউ শকেরবসে খাঁচায় করে বাসাতেও পুষত।হাওরাঞ্চলের এক  সময়ের চির-চেনা ঘুঘু পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ একসময় হাওরে হাওরে কৃষকের মাঠের ধান গড়ে তুলত ঘুঘু পাখির কুহ কুহ ডাকের আনন্দে।তখন ঘুঘুর ডাকে মুখরিত হতো হাওরের পরিবেশ। ঝোপ-জঙ্গল খোলা মাঠ বা আশপাশের বড় বড় গাছ আছে এমন কৃষি জমিতেও এদের দেখা মিলত।
সম্প্রতি হাওর এলাকা বিভিন্ন বনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেল,হাওরাঞ্চলে আগের মতো চির-চেনা এই ঘুঘু পাখিটি তেমন দেখা যায় না। দুই একটা হাওরে বনজঙ্গল ও গ্রামাঞ্চলে দেখা গেলেও তার সংখ্যা খুবই কম।
টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ মুরব্বী কপিলনুর মিয়া জানান আগে আমাদের এই হাওর জনপথে বনজঙ্গল ও গাছে গাছে আগে প্রচুর দেখা যেতো এখন আর তেমনটা পাওয়া যায় না।আমাদের বনজঙ্গল ও গাছগাছালিতে আগে সবুজ নীল ও খয়েরি বর্নের ঘুঘুর বিচরণ ছিল।পাখি গুলো সাধারণত জোড়ায় বা ছোট দলে বিচরণ করে।কৃষি জমি ঘাসপূর্ণ মাঠ,ঝোপ বনের প্রান্ত বা গ্রামে আশপাশে হেঁটে হেঁটে খাবার সংগ্রহ করে এরা।ঘাস ও আগাছার বিচি,শস্যদানা, গাছের কুঁড়ি ও কচি পাতা খায়।মুলত ধানই ছিল ঘুঘুর প্রধান খাদ্য।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে ফশলি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ও শিকারিদের অত্যাচারের ফলে যেমন ঘুঘুর প্রজনন কমে গেছে।তেমনি খাদ্যে বিষক্রিয়া ও শিকারিদের কারণে মারা যেতো ঘুঘু পাখি।
হাওর পাড়ের বাসিন্দা সাংবাদিক শামছুল আলম আখঞ্জী টুটু বলেন ঘুঘু পাখির সুনির্দিষ্ট আবাস্থল ও প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারনে এ প্রজাতির পাখি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।উনি বলেন ঘুঘু অত্যন্ত ভিতু ও লাজুক প্রকৃতির পাখি।সাধারণত বছরে এক জোড়া ডিম পাড়ে।বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, গাছের ডালে, এরা বাসা করে ডিম থেকে বাচ্চা দিত।এখন এই পাখিটি মাঝেমধ্যে দুই একটা চোখে পড়লেও আগের মতো নেই।শিকারিদের কবলে ও ঝোপ-জঙ্গল কমে যাওয়ায় বর্তমানে এদের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। প্রায় বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে এই সুন্দর পাখিটি।
ট্যাগস :
আপডেট : ১০:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
৭৭ বার পড়া হয়েছে

হাওরাঞ্চল থেকে কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু পাখি

আপডেট : ১০:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
হাওরের ঘেরা জনপথ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার হাওরাঞ্চলে এক সময় প্রচুর ঘুঘু পাখি দেখা যেত।আবার কেউ শকেরবসে খাঁচায় করে বাসাতেও পুষত।হাওরাঞ্চলের এক  সময়ের চির-চেনা ঘুঘু পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ একসময় হাওরে হাওরে কৃষকের মাঠের ধান গড়ে তুলত ঘুঘু পাখির কুহ কুহ ডাকের আনন্দে।তখন ঘুঘুর ডাকে মুখরিত হতো হাওরের পরিবেশ। ঝোপ-জঙ্গল খোলা মাঠ বা আশপাশের বড় বড় গাছ আছে এমন কৃষি জমিতেও এদের দেখা মিলত।
সম্প্রতি হাওর এলাকা বিভিন্ন বনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেল,হাওরাঞ্চলে আগের মতো চির-চেনা এই ঘুঘু পাখিটি তেমন দেখা যায় না। দুই একটা হাওরে বনজঙ্গল ও গ্রামাঞ্চলে দেখা গেলেও তার সংখ্যা খুবই কম।
টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ মুরব্বী কপিলনুর মিয়া জানান আগে আমাদের এই হাওর জনপথে বনজঙ্গল ও গাছে গাছে আগে প্রচুর দেখা যেতো এখন আর তেমনটা পাওয়া যায় না।আমাদের বনজঙ্গল ও গাছগাছালিতে আগে সবুজ নীল ও খয়েরি বর্নের ঘুঘুর বিচরণ ছিল।পাখি গুলো সাধারণত জোড়ায় বা ছোট দলে বিচরণ করে।কৃষি জমি ঘাসপূর্ণ মাঠ,ঝোপ বনের প্রান্ত বা গ্রামে আশপাশে হেঁটে হেঁটে খাবার সংগ্রহ করে এরা।ঘাস ও আগাছার বিচি,শস্যদানা, গাছের কুঁড়ি ও কচি পাতা খায়।মুলত ধানই ছিল ঘুঘুর প্রধান খাদ্য।
পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে ফশলি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার ও শিকারিদের অত্যাচারের ফলে যেমন ঘুঘুর প্রজনন কমে গেছে।তেমনি খাদ্যে বিষক্রিয়া ও শিকারিদের কারণে মারা যেতো ঘুঘু পাখি।
হাওর পাড়ের বাসিন্দা সাংবাদিক শামছুল আলম আখঞ্জী টুটু বলেন ঘুঘু পাখির সুনির্দিষ্ট আবাস্থল ও প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারনে এ প্রজাতির পাখি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।উনি বলেন ঘুঘু অত্যন্ত ভিতু ও লাজুক প্রকৃতির পাখি।সাধারণত বছরে এক জোড়া ডিম পাড়ে।বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, গাছের ডালে, এরা বাসা করে ডিম থেকে বাচ্চা দিত।এখন এই পাখিটি মাঝেমধ্যে দুই একটা চোখে পড়লেও আগের মতো নেই।শিকারিদের কবলে ও ঝোপ-জঙ্গল কমে যাওয়ায় বর্তমানে এদের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। প্রায় বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে এই সুন্দর পাখিটি।