খাইরুল ইসলাম, নান্দাইল প্রতিনিধি
- মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর, ২০২২ / ৯২
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৩নং নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ নূরুল ইসলাম এর জমিতে বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, নিম্নে উল্লেখ্য জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছে মোঃ নূরুল ইসলাম’র প্রতিপক্ষ। এমন অভিযোগে সরজমিনে ঘঠনা স্থল পরিদর্শন করে জানাযায় গত ২৫শে জুলাই বিজ্ঞ আদালত নান্দাইল থানাধীন সাভার মৌজাস্থিত বি.আর.এস ৬০১ নং খতিয়ানভুক্ত বি.আর.এস ২৩৫৩ নং দাগের ১৩ শতাংশের কাতে ৮ শতাংশ এবং বি.আর.এস ২৩৫৭ দাগের ৮ শতাংশ একুনে ১৬ শতাংশ সম্পত্তি নালিশী সম্পত্তি বলে গত ২৬শে জুলাই ১৪৪ ধারা জারির করে বিজ্ঞ আদালত নোটিশ প্রদান করে।
কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্যেও কি ভাবে নির্মাণ করছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন। এই বিষয়টি খোঁজ খবর নিলে জানাযায় এই জমি নিয়ে পূর্বেও দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা গোলযোগের হয়েছে। আর এই গোলযোগের কারনে বিগত সময়ে মোঃ নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতের মামলা দায়ের করে।
এবং বিজ্ঞ আদালতের উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু গত ২৫শে জুলাই ১৪৪ ধারা জারি করা জমিতে বিবাদী পক্ষ পূনরায় বাড়ি নির্মান করার চেষ্টা করে মেস্তরি নিয়ে গেলে, বাদী ও বিবাদী এর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে বাদী ও বিবাদী মধ্যে পুনরায় গোলযোগ সৃষ্টি হয়। আর এই গোলযোগের পরে হযরত আলীর বাদী হয়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন নান্দাইল থানায়।এই বিষয়ে হযরত আলীর সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানায়, বহুদিন আগে থেকেই তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে আর বিরোধের কারনেই ২৫শে জুলাই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই জমিতে কেউ কাজ করতে পারবে না বলে ১৪৪ ধারায় একটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে দুই পক্ষকেই। কিন্তু তারা এই নোটিশের কোনো তোয়াক্কা না করেই তারা বাড়ি নির্মাণ করছিল, এতে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিলে হাতেম আলী, হাবিবুর রহমান, মজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান সহ আরও বেশ কয়েকজন আমাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করে এবং আমাদের দুই/তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। পরবর্তীতে আমি অপারক হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি যার স্বারক নং ১/২৫০। এই অভিযোগের পরে নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ আব্দুল কাদির (এস আই) ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে গেছেন। উক্ত বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার এস.আই. আব্দুল কাদিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর হয়রত আলী বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
Related