এটিএম আতিকুল ইসলাম, ফেনী প্রতিনিধি
- শনিবার ২৬ নভেম্বর, ২০২২ / ৪৩
শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরপুর তবু কেনা দায়। সিত্রাং – এর প্রভাব এখনও অনেক চাষি কেটে উঠতে পারেননি। পুনরায় চাষ করে মুনাফা দুরে থাক পুঁজি উঠাতে হিমশিম অবস্থা। লাউ ৫০-১০০টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০টাকা, কুমড়া কেজি প্রতি ৪০-৬০টাকা, কুমড়ার শাক ৩০-৪০টাকা, টমেটো ৮০-১০০টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, শিম ৫০- ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, নতুন আলু শতাধিক টাকা, মুলা ৩০-৩৫টাকা, পেঁয়াজ ৪০- ৪৫ টাকা, রসুন ছোট বড় মাঝারি বিভিন্ন সাইজের ভিন্ন ভিন্ন দর, সব রকম শাক সবজির দর মধ্যবিত্ত পরিবারের সীমানার বাহিরে।
যারা মাসিক বেতনে কাজ করেন মাস শেষে বাজারের দরের কারণে হাতে কোন টাকা থাকে না আর যারা দিনে এনে দিনে খায় তাদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। মাছের বাজারেও আগুন নদীর মাছের দাম বেশি। চাষের মাছের মধ্যে রুই কাতল ২৬০-৩২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-২০০ টাকা, ছোট বড় চিংড়ি ৬০০ টাকার অধিক। ব্রয়লার ১৭০-১৮০টাকা, কক মুরগির দর ২৬০-২৮০টাকা, ডিমের হালি ৪০ টাকা, গরুর মাংশ (হাঁড়সহ হাঁড়বাদে) কেজি প্রতি ৮০০- ১০০০টাকা। বেকের বাজার, সিলোনীয়া আর দাগনভূঞা বাজার ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানুষের মাঝে বাজার দর নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বেসরকারি চাকুরিজীবি মহসিন বলেন, ঘরে চাহিদা মতো কেনাকাটা করা যাচ্ছে না কাটাচেরা করেও মাস শেষে হাতে কোন টাকা থাকছে না। রিকশা চালক দুলাল বলেন, মাংশের কথা বাদই দিলাম মাসে দুই এক দিন মাছ আর পুরো মাস শাকসবজি খেতেও কষ্ট হচ্ছে। বাজার মনিটরিং এ কিছু সুফল আসতে পারে বলে ক্রেতা সাধারণ ধারণা দেন।
Related