নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় মাঠ থেকে ফসল চাষের জমিতে পানি সেচ দেওয়া কাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ২টি গভীর নলকূপের বৈদুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে প্রথম চুরির পরের রাতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও তাদেরকে চুরি মামলায় না দিয়ে জুয়ারী বলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে গভীর নলকূপের মালিক ও এলাকাবাসী দাবী করেছেন। এমন ঘটনায় এলাকার কৃষকরা মাঠে আসন্ন বোরো চাষ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত্য হয়ে পড়েছেন।

শুক্রবার ২৫ নবেম্বর রাতে রানীনগর উপজেলার শলিয়া গ্রামের দক্ষিণ মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

এ গভীর নলকূপের অপারেটর জনাব আলী মন্ডল জানান, প্রতি-দিনের ন্যায় শুক্রবার রাত ১১ টারদিকে গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমারগুলো দেখে বাড়িতে চলে আসি। শনিবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে ধান কাটতে গিয়ে ৩টি ট্রান্সফরমারের শুধু খোল ‘কভার’ জমিতে পড়ে থাকতে দেখে। রাতের অন্ধকারে চোরেরা ট্রান্সফরমার ৩টি নামিয়ে ট্রান্সফরমার গুলোর ভিতরে থাকা তামার কয়েলসহ সবকিছু বের করে নিয়ে খোল ফেলে রেখে চলে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে শনিবার ১৯ নভেম্বর রাতে উপজেলার নারায়নপাড়া গ্রামের কৃষক আনিছার আলী মাঝির গুয়াতা রাস্তার ধার থেকে তার নিজস্ব গভীর নলকূপের ৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার একই কায়দায় খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। চোরের দল পরের রাতে আবারো ঐ গভীর নলকূপে গেলে নলকূপ মালিকের সহযোগীতায় পুলিশ তাদের প্রথমে ২ জন এবং পরে আরও ২ জন এই মোট ৪ জনকে আটক করেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা না দিয়ে জুয়া খেলার মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। বলা হয়, তারা ওই নলকূপের ঘরে তাস দিয়ে জুয়া খেলছিল। ঐ নলকূপের মালিক ও স্থানীয় কৃষকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

ঘটনার ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ২টি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। ট্রান্সফরমারের চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।