সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে ১৮ই ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় বেগমগঞ্জের মিয়ার পোল বাজারস্থ ফেনী নোয়াখালী মহাসড়ক সংলগ্ন লাইফ কেয়ার হসপিটালের সামনে সুগন্ধা দ্রুতযান বাস (গাড়ি নং ফেনী-ব-০৫-০১০৭) তল্লাশি করে সায়েদুর রহমান(১৮) নামীয় সন্দেহভাজন যুবককে আটক করা হয়।
আটককৃত যুবক নিজেকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে পরিচয় দেয়। অতঃপর তার দেহ তল্লাশি ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে নেয় তার পেটে ইয়াবা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন আলি খালি এলাকার বাবুল নামের মাদক কারবারীর নিকট থেকে সে ইয়াবা সংগ্রহ করেছে বলে জানায় এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার মাদক সম্রাট সবুজ মিয়ার কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট চালান পৌঁছে দেয়ার পথে সে আটক হয়।
পেটের ভিতরে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা ট্যাবলেট থাকায় ঘটনাস্থলে তা জব্দ করা সম্ভব হয়নি বলে তাকে মাইজদী মুন হসপিটালে এনে ডিজিটাল এক্সরে করার মাধ্যমে তার পাকস্থলীতে ইয়াবার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ফজলে রাব্বি ঈশান এর পরামর্শ মতে তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে পরের দিন উনিশে ডিসেম্বর রাত ১.৩০ হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি সায়েদুরকে বাথরুমে যাতায়াত করিয়ে পায়ুপথে মলত্যাগের মাধ্যমে কালো স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ৪০টি প্যাকেটে মোট ২০০০পিস ২০০ গ্রাম ওজনের কমলা বর্ণের ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় মোঃ আবদুল হামিদ, সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, নোয়াখালী জেলা কার্যালয়, বাদী হয়ে ১. সায়েদুর রহমান (১৮), পিতা: নুর মোহাম্মদ, মাতা: সেতারা বেগম,সাং: রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার। যার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কার্ড নং: ১৬৫২০১৭১০০৭১৪৩৫৫৩।
২. সবুজ মিয়া (২৭) পিতা: মৃত নুরুল ইসলাম, মাতা: জাহানারা বেগম, সাং: কোয়ারিয়া, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। দুই ব্যক্তিকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেন।