ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর চর ডাউটিয়া গ্রামের ভুট্টা ক্ষেত থেকে মোঃ মনির হোসেন(৫৫) নামে একব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় মনির হোসেনের ছেলে রেজুয়ান বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে বাবাকে কোথাও না পেয়ে সোমরাব দুপুরের দিকে ধামরাই থানায় একটি জিডি করেন। নিহত মনির হোসেন কালামপুর বিসিক শিল্প নগরীর ভ্যালেন্টেড কারখানায় চাকরী করতেন। মনির হোসেন গতকাল রোববার ২৫ ই ডিসেম্বর বিকাল ৫ টার দিকে কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে স্ত্রীর জন্য ঔষুধ কিনতে যান।কিন্ত ঔষদ কিনে বাড়ীতে আর ফিরে যাননি।
সোমবার (২৬ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের চর ডাউটিয়া গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনির হোসেন উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের আটিমাইঠান গ্রামের মৃত হাজী ইসরাফিলের ছেলে। সে চর ডাউটিয়া গ্রামে শশুর মৃত ফজলুল হকের বাড়ীতে থাকেন। ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের চরডাউটিয়া এলাকায় একটি ভুট্টা ক্ষেতের পাশ দিয়ে এক কৃষক তার জমি পরিস্কার করতে গিয়ে দেখে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতরে একটি লাশ পড়ে আছে। পরে ঐ কৃষক চিৎকার করে এলাকার লোকজনকে লাশের কথা জানায়।এলাকার লোকজন এসে লাশটি দেখে ধামরাই থানার পুলিশকে খবর দিলে, ধামরাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জিডি সুত্রে জানা যায়, মনির হোসেন তার স্ত্রীর জন্য ঔষুধ আনার কথা বলে গতকাল রোববার বাড়ী থেকে কালামপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। কিন্তু সেই রাতে আর তিনি বাড়ী ফিরে আসে নাই। পরে আজ সোমবার মনির হোসেনকে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে তার ছেলে রেজুয়ান ধামরাই থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। জিডি নং-১০৬৫। জিডি করার কয়েক ঘন্টা পর ডাউটিয়া এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার বাবার লাশ উদ্ধার করেন ধামরাই থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এস আই মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, মনির হোসেন হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে নিহতের বিষয়টি উদঘাটন করা সম্ভব হইবে ।