সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
৫ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পেলেকে নিয়ে লেখা ‘ফুটবলের রাজা’ পড়েছি। লেখার শুরু ছিলো ‘তার আসল নামটি বেশ বড় ‘ এডসন অরাতেস দো নাসিমেনতো’। তবে এ নামে তাঁকে খুব কম লোকেই চেনে ‘পেলে’ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত।
ফুটবল ও ব্রাজিল এক ও অভিন্ন’ আর এটি তৈরিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন পেলে। ১৯৭০ সালে তার নেতৃত্বে ব্রাজিল তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রপি ‘জুলেরিমে’ জয় করার পর তিনি ক্ষণিকের জন্য ফুটবলের কথা ভুলে গেলেন। কাঁপা কাঁপা গলায় শুধু বললেন ‘এখন আমার মনে পড়ছে সেই সব শিশুদের কথা, তাদের কথা যেন আমরা ভুলে না যাই। চরম দারিদ্র্যের মাঝে পিতার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় ফুটবলে ‘পা’ ছোঁয়ালেন তিনি। এর পরেরটুকু ইতিহাস। তিনিই হয়ে উঠলেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার। অনেকেই ইতিহাসে ঠাঁই পায়, কিন্তু মুষ্টিমেয় লোক ইতিহাস সৃষ্টি করে নিঃসন্দেহে পেলে শেষোক্ত দলের।
২০২২ এর বিদায় মুহুর্তে পেলে পৃথিবীকে বিদায় জানালেন। প্রতিটি আাসার মাঝেই সুপ্ত থাকে যাওয়া। তবুও চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়, বিচ্ছেদ নয়। তিনি যে অনন্য কৃত্তি স্থাপন করেছেন তাতে পেলে’ কালকে ছাড়িয়ে মহাকালকে স্পর্শ করবে। পেলে সাম্যের পৃথিবী, মানুষের পৃথিবী গড়তে চেয়েছেন, পৃথিবী থেকে বর্ণবাদ, বৈষম্য, বিভাজন দূর করে সাম্য, সৌহার্দ্য সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। এজন্য তিনি ফুটবলের শক্তি কাজে লাগিয়েছেন। আর এ প্রয়াসের দরুনই মানুষ হিসেবে তার নাম মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে।
এখন মনের মাঝে উচ্চারিত হচ্ছে শুধু পবিত্র কুরআনের বাণী ‘ আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই, সকলের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে’।
ঘুমাও শান্তিতে ফুটবলের রাজা, অগুনতি মানুষ তোমার স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাবে অনাগত দিনে।