সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:৪২ অপরাহ্ন
ডলার সংকট, রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পুরনো জাহাজের সরবরাহ কমে যাওয়াসহ নানা কারণে বিপর্যস্ত রয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। ফলে অপার সম্ভাবনাময় এই শিল্প এবং ইস্পাত শিল্পসহ সংকট তৈরি হচ্ছে। ২০১৫ সালের পর থেকে এ শিল্পে ব্যাপক অগ্রগতি বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশ্বে যত জাহাজ ভাঙ্গা হয় তার ৪৭.২ শতাংশ আমাদের এখানে সীতাকুণ্ডের সমুদ্র উপকূল হয়ে থাকে। ২০২০সালের করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট এ শিল্প নানামুখী সংকটে পড়তে শুরু করে। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেও এই খাতে ধাক্কা দেয়।ইয়াড মালিকরা বলছেন, সাম্প্রতিক ডলার সঙ্কটের কারণে সরকার কম প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করার পর পুরনো জাহাজ আমদানি কমে যায়।
আবার এ বছরের শুরুতে ডলারের দাম বাড়ায় যে দামে জাহাজ কেনা হত ব্যাংক গুলোতে এলসির বিপরীতে, তার চেয়ে বাড়তি পরিশোধ করতে হতো।ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশি শিপ ব্রেকার্স এ্যান্ড রিসাইক্লাস এসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) সভাপতি আবু তাহের বলেন, ইস্পাত শিল্প সহ বিভিন্ন খাতে পুরনো জাহাজ থেকে প্রাপ্ত কাঁচামালের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক আমাদের এলসি দিচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্প আমদানি নির্ভর। এলসি না দিলে ইয়াড বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বিএসবিআরএয়ের হিসাবে, চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে কুমিরা পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চলে ছোট-বড় ১২০টির মতো রেজিস্টার্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড রয়েছে।এর মধ্যে ৮০ টিরও বেশি ইয়াডে জাহাজ কাটার কাজ চলমান থাকলেও পুরনো জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় বর্তমানে ৩০টির মত ইয়ার্ডে জাহা কাটার কার্যক্রম চলছে। বাকিরা কাজ বন্ধ রেখেছে। এইসব ইয়াডে কর্মরত শ্রমিকরা বেকার সময় পার করছেন। গত বছরের এপ্রিলের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে পুরনো জাহাজ আমদানি কমতে শুরু করেছে।