সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘর পাওয়া অসহায় এক গৃহবধূর ইজ্জত হরনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ নাদু মিয়া(৬০) এর বিরুদ্ধে।
সে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ইহরাম মিয়ার ছেলে।
ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ের শিকার এক কন্যা সন্তানের জননী, গৃহবধূ ডলি আক্তার জানান, আমি একজন বাউল গানের শিল্পী ।স্বামী ফেলে চলে গেছে। এখন আর গান করিনা। একটি মেয়ে সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করা গরীব ও অসহায় একজন নারী। ম্যালা (অনেক) মানুষের কাছে গেছি, ঘরের জন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের দয়ায় একটা ঘর পাইছি। ভাবছিলাম শান্তি সুখে থাকুম।
অই বেডা (নাদু মিয়া) আমার নাতনী ডাকছে। সে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই আমার ঘরে ঢুকে আড্ডা দেয়,পান, গুয়া খায়।কয়েকদিন পর পর আমার আইডেন্টি (জাতীয় পরিচয় পত্র) চায়।বেশ কয়েবার নেওয়ার পর আবারো চায়। পরে তার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আমি সতর্ক হয়ে যাই। এরপর সরাসরি আমাকে খারাপ ঈঙ্গিত করে আমাকে স্বপ্ন দেখায় ইজ্জত নষ্ট করার জন্য। রাত-বিরাতে মাঝেমধ্যেই উপস্থিত হয়ে আমার আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতঘরের দরজায় ডাকাডাকি করে।গেছে কাইল (গতকাল) (৪ ঠা জানুয়ারী ) রাইত ১১ টার দিকে আমার ঘরের দরজায় ধাক্কা ধাক্কি কইরা ডাকতে থাকে ও জোর জবরদস্তি করে ইজ্জত নষ্ট করার জন্য। পরে আমি ইজ্জত বাঁচাইতে লোকজনের কাছে মুখ খুলতে বাধ্য হই।
ওই গৃহবধূর পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা দিয়ো ঘটনার আকস্মিকতায় ভয় পেয়ে কান্না করতে থাকে।সে বলে রাইতকারা ওই বেডাডা(নাদু মিয়া) আমগো ঘরে জোরে জোরে বাইরা বাইরি করে। আম্মার কাছে কি জানি কয়, আর খালি আইডেন্টি কার্ড চায়। আমার ডর লাগে।
ভিকটিম গৃহবধূ ডলি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে ঘরে দিছে, কিন্তু নাদু মিয়ার জন্য আমি শান্তিতে থাকতে পারছিনা।নাদু মিয়া আমারে ভয় দেখাইয়া হুমকি দেয় আমি আওয়ামীলীগের সভাপতি, আমার অনেক ক্ষমতা, তুই আমার কিছুই করতে পারবিনা।আমি জনগণের কাছে বিচার চাই, সরকারের কাছে বিচার চাই,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই।
এ ব্যাপারে লক্ষীপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে তারা বলেন,ঘটনা সত্য, অসহায় মেয়েটির ঘরে ঢুকে সভাপতি নাদু মিয়া ইজ্জত নষ্ট করার পায়তারা করতাছে, কামডা মোটেও ভালা না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে লক্ষীপুর ৯ নং ওয়ার্ডের আ. সভাপতি ও অভিযুক্ত নাদু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা আমার কিছুই করতে পারবেন না, আপনারা যা খুশী তা লিখতে পারেন।
সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে ভিকটিম গৃহবধূ ডলি আক্তার বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।