মেহেদী হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- রবিবার ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ / ৩২
পটুয়াখালীর দুমকিতে গত এক সপ্তাহে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও ঘন কুয়াশায় প্রচন্ড শীতের প্রকোপে চরম দুর্ভোগ ও অস্বস্তি বিরাজ করছে জনমনে। বিকেল থেকেই শুরু হয় হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা পড়া। ভোর থেকে বেলা ১১/১২টায়ও দেখা যায় না সূর্যের আলো। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে গবাদি পশু পালন কারী জনসাধারণ। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে অনেকেই।
অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় হতাশায় ভূগছেন অনেকেই। সরকারি কিছু কম্বল পৌঁছলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শীতের দাপটে সকালে ও সন্ধার পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় হরহামেশা। উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় শীতের প্রভাব বেশি পড়ায় খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সকাল ও সন্ধ্যার পর হাটবাজারে লোকসমাগম কম বলে জানান দোকানীরা। দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার জিএম এনামুল হক জানান, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতের প্রকোপে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ, সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সরকারি ভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল বরাদ্দের ব্যাপারে দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, গত মাসে অসহায় শীতার্ত ও দুস্থদের মাঝে ১৬শ’ কম্বল পেয়েছি, তা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু ব্যাক্তি উদ্যোগে ও এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারীভাবে আরো শীতবস্ত্র ও কম্বল বরাদ্দের প্রয়োজন।
Related