জামালপুর জেলার ইসলামপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পলবান্দা (উজানপাড়া) গ্রামে নিজের নাম ও পিতার নামের আংশিক মিল থাকায় ৫ দিন সাজা খাটলেন মোঃ মনিরুল হাসান রুবেল (২২)।গত ২৫/১২/২০২২ইং আনুমানিক সন্ধ্যা ৫.৩০ এর সময় তার কর্মস্থল ইসলামপুর বাজার পালোয়ান মার্কেটের আলজিয়ার্স টেইলার্স থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন, বিপি নং-৮৭০৫০৯৮৪৯৬। আদালত সুত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা নং-১৫৭/২০ ধারা ১১(গ)/৩০, গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট নং P-১১৯২/২২।
প্রকৃত আসামী মোঃ রুবেল (৩০),পিতা -মোঃ রফিক, মাতা- হালিমা খাতুন এর স্থলে গ্রেফতার করা হয় মোঃ মনিরুল হাসান রুবেল (২২),পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম হাপ্পু, মাতা মমেনা বেগম। এভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ায় হতবিহ্বল হয়ে পরে তার বিধবা মা ও স্বজনরা।
মনিরুল হাসান রুবেলকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ সামিউল ইসলাম থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেন, রুবেল ভালো ছেলে নিরপরাধ এর নামে কোন মামলা নেই ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেন কিন্তু জবাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “এটা ওয়ারেন্ট এর আসামী ছাড়ার কোন সুযোগ নেই।
গত ২৯/১২/২০২২ শুনানির দিন অভিযুক্ত মামলার আসামী মোঃ রুবেল, পিতা মোঃরফিক মাতা- হালিমা এর সাবেক স্ত্রী বাদিনী মোছাঃ চাম্পা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন ” এই রুবেল তার স্বামী নয় ও এই মামলার আসামী নয়।শুনানি শেষে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (অবকাশকালীন) মোঃ মনিরুল হাসান রুবেলকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
ইসলামপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সামিউল ইসলাম বলেন, এভাবে নিরপরাধ মানুষকে যেন আর হয়রানি না করে পুলিশ। পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দানকারী তাই ভবিষ্যতে এজাতীয় মামলায় যথাযথ তদন্ত ছাড়া যেনো আসামী গ্রেফতার করা না হয়।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান ” সরেজমিনে পলবান্দা মোড়ে ১০/১৫ জনকে জিজ্ঞেস করি এবং পরে তার কর্মস্থল ইসলামপুর বাজার পালোয়ান মার্কেটের আলজিয়ার্স টেইলার্স থেকে তাকে থানায় নিয়ে যাই এবং পরদিন আদালতে প্রেরণ করেছি।