মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিকরা। উর্বর মাটি ইটভাটায় চলে যাওয়ায় ফসলি জমির সর্বনাশের পাশাপাশি গহীন করে মাটি কাটায় বিপাকে পড়ছে আশপাশের জমির মালিকেরা। এতে অন্যদের জমির পাড় ভেঙে পড়ছে। বাধ্য হয়ে অবশেষে তাদের কাছেই নামমাত্র মূল্য নিয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে সোমবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা যায় প্রকাশ্য দিবালকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। স্থানীয়রা জানায় দিনরাত্রি বাধাহীন এভাবেই মাটি কাটে ইট ভাটার মালিকেরা । অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী মাটি পরিবহনকারী ট্রলি ও ট্রাকগুলো যেনতেনভাবে মাটি ভর্তি করে মহাসড়ক ও ইউপি’র গ্রামীণ কাচা-পাকারাস্তাগুলোতে চলাচল করায়, মাটি পড়ে রাস্তার ভিটুমিন নষ্ট ও রাস্তা দেবে গিয়ে জনপথের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
ভারী যানবাহন গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে চলাচলে কেউ বাধা না দেওয়ায় হুমকীর মুখে পড়েছে রাস্তাগুলো। সরকারী আইন অনুযায়ী কৃষি জমির মাটি ভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ। উপজেলার প্রায় সবগুলো ইউনিয়ন ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। ফসলি জমির মাটির ৩ ফুট উপরি অংশ কাটা হচ্ছে। কোথাও ফসলি জমিতে পুকুর কাটার কথা বলে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে ইট ভাটায়। এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। ইট ভাটার দালালরা মূলত কৃষকদের বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে জমির মাটি স্বল্প মূল্যে খরিদ করে তা বিক্রি করছে ভাটা মালিকদের কাছে। এতে লাভবান হচ্ছে ইটভাটার মালিক সহ একটি দালাল চক্র।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনের সঠিক প্রয়োগ ছাড়া ফসলি জমি রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বলধরা ইউনিয়নের AAB ইটভাটা মালিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আগে অভিযান হয়েছে এখন আর কোন অভিযান হবে না। আমরা নির্ভয়েই মাটি কাটছি।
খোলাপাড়া এলাকায় অবস্থিত MSB খোলার মালিক মো. সুরুজ মিয়া বলেন, ভাটা আছে মাটি লাগবেই। ফসলি জমি ছাড়া মাটি পাব কোথায়। আমি পুকুর কাটার আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, নায়েব পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।