মোঃ ইদ্রিস আলী,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
- বুধবার ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ / ২৮
গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বারো ভাগিয়া গ্রামের মোঃ শাহিদ মোল্লার ছেলে তারিকুল ইসলাম নামে এক সেনা সদস্যর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তিনমাস পর কবর থেকে তুলে ফরিদপুর মগে পাঠিয়েছেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছিন আরাফাত রানা, মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিদুল ইসলাম এস আই সান্টু অন্যান্য পুলিশ সদস্য কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহ অনেকে।
গত ১৭ই অক্টোবর ২০২২ ইংরেজি ,পারিবারিক সূত্রে জানা যায় সেনাসদস্য তারিকুল মারা যাওয়ার তিন দিন আগে ছুটিতে আসেন , স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকায় তিনি সরাসরি শ্বশুর বাড়িতে ওঠেন।
তারিকুলের বাবা মোঃ শাহিদ মোল্লা জানান এক বসর আগে তারিকুল বিয়ে করে মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত জাহিদ খাঁর মেয়ে মুসাম্মাৎ মিতু খাতুনকে , তিনি বলেন বিয়ের পর থেকেই মিতু তার খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করতো আমার ছেলে বাড়িতে আসলে সে সময় শুধু বাড়িতে থাকে যেদিন চলে যাবে সেদিনই তাকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসতে হতো।
তিমি আরো জানান তিনদিন আগে আমার ছেলে ছুটিতে আসে অথচ আমরা বাড়ির কেউ জানিনা ঘটনার দিন আমার ছেলে বউ জানান সন্ধ্যার দিকে তার বাবার বাড়িতে তার চাচাতো ভাই সুজন খাঁ, ফকির সেজে জ্বীন পরীর আসন বসায় , সেই আসন থেকে নাকি আমার ছেলেকে সাপে দংশন করে কারণ হিসেবে তিনি বলেন ফকিরের কথা না শোনার কারনে তাকে শাপে দংশন করেছে। ছেলেকে তখন নাকি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেনাসদস্য তারিকুলের ছোট ভাই মোঃ সজিব বলেন আমার ভাইয়ের জীবনে এত কিছু ঘটে গেলো অথচ আমরা পরিবারের লোক কেউ কিছুই জানিনা , তিনি আরো বলেন মিতুর চাচা কালু খার একটি ছেলে রয়েছে নাম সুজন তিনি তারিকুলের বিয়ের আগে থেকেই মিতুকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এতে তার বাবাও তাকে সাহায্য করে ,কারণ হলো মিতুর বাবা না থাকায় মিতুর বেশকিছু সম্পদের মালিক হয়েছেন সম্পদের লোভে তার ছেলের বউ হিসেবে মিতুকে পাবার জন্য এ কান্ড ঘটাতে পারে বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন মিতুর চাচা কালু খা ছেলের বউ বানাতে না আমার ভাই কে হত্যার হুমকি দিয়েছিল ।
Related