জানা গেছে,ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে ৩১৫ নারীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী- প্রত্যেক কার্ডধারীর প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা।তবে তালিকা থাকা ১২৬ জন উপকারভোগী ২১ মাস ধরে কোনো চাল পাননি বলে অভিযোগ ওঠে।

সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গত বছরের ১৪ নভেম্বর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেলকে আহ্বায়ক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) আবুল কায়সার তালুকদার ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরাকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

২০ নভেম্বর তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে। তদন্তে ৭৯ জন সুবিধাভোগীর ২১ মাসের চাল না পাওয়ার প্রমাণ মেলে। এছাড়া ৪৭ জন কার্ডধারীর কোনো হদিস খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।৭ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা ভিজিডির সভাপতি ইউএনওর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম মোদাব্বিরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির এর দায় এড়াতে পারেন না বলেও উল্লেখ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও সুবিধাবঞ্চিতরা কোনো সুরাহা না পাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এ বিষয়ে জানতে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মোদাব্বিরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকিরের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. হাফিজা জেসমিন বলেন,তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশনা হয়েছে।