মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইউএনও মহোদয়ের মানবিক কর্মতৎপরতায় বেচে গেল মা ও নবজাতক শিশু।
সকালে সন্তান সম্ভবা এক পাগলি মায়ের প্রসববেদনা চিৎকার ভারি করে তুলছিল জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধা চত্ত¡র এলাকা। চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে গিয়েছিলেন কিছু স্থানীয় মহৎ ব্যক্তি। ঐ সময়ে উপস্থিত জনতার মধ্য হতে নোয়াপাড়া সৈয়দ সইদ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ এর সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান, মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসান কে ফোনে জানান সন্তান সম্ভবা এক পাগলি মায়ের প্রসববেদনা চিৎকারের খবর । খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসান মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নার্স ও এম্বোলান্স সহ এসে মা ও ছেলেকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এসময় ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ যাওয়ার পথে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব জাকিয়া পারভীন, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নুরুল হক,সহকারী পরিচালক ডাঃ রওশন জাহান এবং আখতার জাহান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নেমে মা ও নবজাতকের খবর নেন। স্থানীয়দের মতে,সে প্রায় কয়েক দিন ধরে মানসিক অসুস্থ অবস্থায় জগদীশপুর এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন। প্রসববেদনার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসান কে সংবাদ দিলে তিনি নবজাতকসহ মা কে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন বলেন,খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি তাৎক্ষনিক ভাবে জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কর্মীরা নব জাতক ও মা কে সেবার ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যেই খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান, মাধবপুর থানার ওসি আঃ রাজ্জাক,পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম,শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান,সমাজ সেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী নবজাতকসহ পাগলিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, নবজাতকের মা যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বাবার পরিচয় নেই সেহেতু তার লালন-পালনের জন্যে সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে শিশুটির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হবে।