মো. জাহিদুর রহমান
- বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ / ৫২

সফেন ফাউন্ডেশন ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর উদ্যোগে দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
সফেন ফাউন্ডেশন ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর উদ্যেগে “শিক্ষা ও সাংবাদিকতায় শুদ্ধতার চর্চা” শীর্ষক সেমিনার এবং দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত। গতকাল, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, মতিঝিলস্থ সফেন প্রধান কার্যালয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র তুলে দেন সফেনের স্বপ্নদ্রষ্টাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সফেনের প্রতিষ্ঠাতা, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরির সম্পাদক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আাসাদুজ্জামান পিভিএমএস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সফেনের প্রতিষ্ঠাতা, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরির সম্পাদক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আাসাদুজ্জামান পিভিএমএস।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লায়ন ড. এম এ হালিম পাটোয়ারী পিএমজেএফ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসিসি গ্রুপ, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর (২০১৫-১৬) লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, ৩১৫, এ১, বাংলাদেশ । সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান মজনু, বার্তা সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, নাসরিন ইসলাম, কবি, কথাশিল্পী ও সমাজকর্মী, খালেদ মোশারফ হোসেন চৌধুরী রানা, জেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকী, আহবায়ক মানবিক বিশ্বগড়া, মো. মহিবুর রহমান খান বকুল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ, মুহাম্মদ নুর নবী খান নুর, এমডি প্রাইম টয়লেট্রিজ লিমিটেড।
আজ থেকে ২৫ বছর আগে ড. খান আসাদুজ্জামান ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর সফেন প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পীত জীবনের সন্ধানে-দেশজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অঙ্গীকার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল হতে শুরু হয় SOFEN (Society for enlightening Nation)-এর দীপ্ত পথচলা। সে দিনের সফেন অতি ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হলেও আজ দেশব্যাপী পরিচিত অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সফেন শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দুস্থ,নিপীড়িত ও অসহায় মানুষের তরে বাড়িয়ে দিয়েছে প্রত্যয়ী সেবার হাত।
সফেন আজ একটি প্রতিষ্ঠান নয়, দীর্ঘ ২৫ বছর পথ অতিক্রম করে বিশাল মহীরুহে পরিনত হয়েছে। সে দিনের সফেন আজ আজ সফেন গ্রুপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার, মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ, দ্যা ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরিসহ সফেনের রয়েছে ১৩ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী মতিঝিলে রয়েছে তার নিজস্ব অফিস।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সফেন আর্ত নিপিড়িত মানুষের সেবায় কাজ করে আসছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এ কর্মসূচি। শুধু শীতার্ত মানুষকে নয় সফেন বিভিন্ন দুর্যোগ, দুর্বিপাকে, খড়া, মহামারী, বন্যার্ত মানুষকে বিভিন্নরকম সহায়তা করে আসছে।
সভায় বক্তব্য প্রদান করেন, কাজী আাসাদুজ্জামান রনী, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. জাহিদুর রহমান, আশ্রাফুজ্জামনা সাইলু, মো. নাজিম উদ্দিন হাওলাদার, শিরিন সুলতানাসহ আরো অনেকে।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন ড. আলহাজ্ব শরীফ সাকী, মুহাম্মদ নুর নবী নুর, মো. মহিবুর রহমান বকুল, নাসরিন সুলতানা, মো.মজিবুর রহমান নজনু, লে. কর্নেল বেগ সাব্বির আহমেদ প্রমুখ। সকল বক্তারা সফেন-এর আর্তমানবতায় সেবায় কাজ করার জন্য সফেন-এর স্বপ্নদ্রষ্টা ড. খান আাসাদুজ্জামান-এর ভুয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সকলে সফেন-এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম এ হালিম পাটোয়ারী বলেন, ১৯৯৭ সালে টিএসটিতে যখন সফেন প্রতিষ্ঠা হয়, সেই থেকে সফেন তথা ড. খান আাসাদুজ্জামান-এর সাথে আছি। আজীবন সফেন-এর সাথে থাকবো। পাশাপাশি অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ইউসিসি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। ইউসিসি গ্রুপ বিশ্বব্যাপী “Education for excellence movement ” অর্থ একটি নৈতিক শিক্ষার আন্দোলন। আমাদেরকে ঘরথেকে নৈতিক শিক্ষার আন্দোলন শুরু করতে হবে। তাহলে একদিন আলোকিত মানুষ পাব, সুন্দর মানুষ পাব, জনগন নয়, দেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে পাব। তিনি সকল সাংবাদিকদেরকে আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলন নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
পরিশেষে সভাপতি ড. খান আাসাদুজ্জামান, আগত সকল বক্তাকে ধন্যবাদ জানান। এবং আজীবন সফেন-এর পাশে থেকে ” Society for enlightening nation” আলোকিত জাতি গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করার দীপ্ত আহবান জানান।
Related