বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
বুধবার ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১ঃ৩০ মিনিটের সময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহিদুল আলমের নেতৃত্ব উত্তর বনবিভাগ এর টাস্ক ফোর্স অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জ্বালানি কাঠসহ ২টি গাড়ি জব্দ করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহিদুল আলম এর ভাম্যমাণ আদালত বন আইন-১৯২৭ এর ৬৭ ধারা অনুযায়ী আটককৃত দুই জনকে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় অবৈধ কাঠ গুলো জব্ধ করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহিদুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাঠ বোঝাই দুটি চাঁদের গাড়ি (জিপ) আটক করা করা হয়। গাড়ি দুটিকে বন বিভাগীয় প্রচলিত বন আইন-১৯২৭ এর ৬৭ ধারা অনুযায়ী ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা কাঠ নিয়মিত মামলার জন্য বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বনজ সম্পদ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, রাতের আধারে কাঠ পাচারের বিষয় নিয়ে বন বিভাগকে আরো বেশী সজাগ ও তৎপর থাকতে হবে । আমাদের আছে তথ্য আছে হাটহাজারীতে অবৈধ করাত কল আছে। আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। করাত কল গুলোর কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে দেখব। যেগুলোর বৈধ কাগজ পত্র আছে সেগুলো চালু থাকবে। আর যাদের বৈধতা নেই তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অবস্থাতেই বনজ সম্পদ ধ্বংস হতে দেয়া হবে না।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের হাটহাজারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা হারুন চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় অবস্থান নিই। এরপর কাঠ বোঝাই গাড়ি ২টি দেখামাত্র ধাওয়া করে আটক করি। পরে গাড়িসহ অবৈধ ১ লক্ষ টাকার জ্বালানি কাঠ জব্দ এবং ২ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, সংঘবদ্ধ একটি কাঠ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট বন বিভাগের লোকজনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে বননিধন ও চোরাই পথে কাঠ পাচার অব্যাহত রাখার চেস্টা করছে। কিন্তু যখনই খবর পাওয়া যাচ্ছে তখনই চালানো হচ্ছে অভিযান। এতে করে দিনদিন চোরাই পথে কাঠ পাচার হ্রাস পাচ্ছে। এ সংক্রান্তে বেশ কয়েকটি সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বন অপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।