বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকার বনানী থানাধীন বনানী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক কৃত আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন (২৯)বগুড়া জেলার মোঃ শহীদুল ইসলাম ওরফে কিনার ছেলে ।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, বিগত ৫/৬ মাস পূর্বে ভিকটিম মোঃ জিসান আলী (২০) এর সাথে বিবাদী মোঃ জসিম উদ্দিন এর পরিচয় হয়। বিবাদী নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরকারী/বেসরকারী বিভিন্ন পদে লোকজনকে চাকরি দিতে পারে বলে ভিকটিমকে প্রলোভন দেখায়। এছাড়াও ভিকটিমকে সেনাবাহিনীর ইলেক্ট্রনিক ম্যান পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানায় এবং উক্ত চাকরির জন্য ভিকটিমের কাছ থেকে ২,০০,০০০ টাকা দাবি করে। বিবাদীর কথামতো চাকরির জন্য মৌখিক চুক্তিতে ভিকটিম তাকে ২,০০,০০০ টাকা দেয়। বিবাদী মোঃ জসিম উদ্দিন গত ১২ জানুয়ারি ভিকটিমকে চাকরিতে যোগদানের নিয়োগপত্র প্রদান করবে বলে জানায়। ভিকটিম ১১ জানুয়ারি বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন জটিলতার কারণে নিয়োগপত্র প্রদান করতে পারবে না বলে জানায় এবং ভিকটিমকে পূনরায় ২০ জানুয়ারি যোগাযোগ করতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিম মোবাইল ফোনে মোঃ জসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তী ভিকটিম তার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বললে বিবাদী মোঃ জসিম উদ্দিন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এসংক্রান্তে ভিকটিম র্যাব-১ এর নিকট একটি অভিযোগ করেন এবং আইনগত সহায়তা কামনা করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকার বনানী থানাধীন বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উত্তর পাশে বাস কাউন্টারের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন কে আটক করা হয়। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত ১৯ টি খাকি ফাইল কভার ও ০৫ টি প্লাস্টিকের ফাইল কভার উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে তার সহযোগীদের সাথে একে অপরের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তাদেরকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায়। ধৃত আসামী নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করে বাংলাদেশ সেনাবানিীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে চাকুরী প্রার্থীদের নিকট হতে অর্থ সংগ্রহ করত বলে স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৭ঃ১০পিএম