বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
গতকাল রবিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ৮ঃ০০ টার সময় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার মৃত সাহেব মিয়ার ছেলে মোঃ আজিজুল হক (৫৬) ও মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মোঃ মোছলেম উদ্দিন ওরফে রফিক (৫০) এবং ঢাকা জেলার মৃত আব্দুলের ছেলে মোঃ কাউছার (৪৫)।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা বিমানবন্দর থানাধীন মনোলোভা রেস্টুরেন্ট এর বিপরীত পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় ধৃত আসামীদের কাছ থেকে ৩ টি পাসপোর্ট, ৩ টি মোবাইল ফোন, নগদ ২৭,০০০ টাকা ও ৩ জন নারী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বর্তমানে দুবাই এ অবস্থানরত চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন (৩৭) এবং শিল্পী (৩৫) এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। মহিউদ্দিন এর সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের যোগসাজসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পলাতক আসামী নোয়াখালী জেলার নূর নবী ওরফে রানা (৩৫) এবং ঢাকা জেলার মনজুর হোসেন (৩৩) মানব পাচারকারী চক্রের এ দেশীয় মূলহোতা। মোঃ আজিজুল হক এই মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সমন্বয়ক।আজিজুল হকের মাধ্যমে মহিউদ্দিন ভিকটিমদের বিদেশে যাওয়ার খরচের টাকা পাঠাত। পলাতক আসামী তাহমিনা বেগম (৪৮) এবং রফিক ও কাউছার কমবয়সী সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করতো । পরে বিভিন্ন কোম্পানী ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রতারক চক্র মেয়েদেরকে বিদেশ গমনে প্রলুব্ধ করে এবং কোন তরুনী বিদেশ গমনে রাজী না হলে বহুবিধ হুমকি প্রদান করে। এছাড়াও এই মানব পাচারকারী চক্র প্রবাসে গমনে ইচ্ছুক বহু পুরুষ ভিকটিম থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
তিনি আরও জানান, আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ইতিমধ্যে তারা প্রায় ৮০ জন নারীকে এভাবে বিদেশ পাচার করেছে। র্যাব এই দুর্ভাগা নারীদেরকে উদ্ধারে এবং অন্যান্য অপরাধীদেরকে গ্রেফতারে সচেষ্ট রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৬ঃ০০পিএম