ধর্ষন মামলায় এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নলছিটি প্রতিনিধি ও কুলকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচ এম আখতারুজ্জামান বাচ্চুর বিচারের দাবিতে ঝাড়ু– মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ ও মানবন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ১৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঝাড়ু– মিছিল কুলকাঠি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন শেষে ইউপি কার্যালয়ের সম্মুখে ৫ শতাধিক বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
মানবন্ধনে বক্তারা দাবী করেন, ইসলামী ছাত্র শিবির পৌরসভাপতি ও ফ্রিডম পাট্টির উপজেলা সভাপতি পদ থেকে অনুপ্রবেশকারী এনজিও ব্যবসায়ী এইচ এম আখতারুজ্জামান বাচ্চু ২০০৯সালে আ’লীগে যোগদান করেন। এরপর শীর্ষ এক নেতার সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অনেক ত্যাগী-পরীক্ষিত নেতাদের টপকে রাতারাতি ‘আ’লীগের বড় নেতা’ বনে যান।
বক্তারা আরো দাবী করেন, স্বল্পতম সময়ে মধ্যেই সে পদ পদবী ও কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে এখোন আখতারুজ্জামান বাচ্চু দলের ভাবমূর্তী বিনাশী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তাই অবিলম্বে ধর্ষক ও অনুপ্রবেশকারী বাচ্চুকে গ্রেফতার করে কঠোর বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে দাবী জানান। এরপর প্রতিবাদী জনতা আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
মামলার বিবরনে উল্লেখ্য করা হয়েছে, চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এক তরুনী (১৯) কে ধর্ষনের অভিযোগে গত ১২ জানুৃযারি একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে।
ধর্ষিতা তরুনী কুলকাঠি ইউনিয়নের বাসিন্ধা হলে বর্তমানে পরিবারসহ ঢাকার বাসিন্ধা হওয়ায় ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল চ্যাটিং ও কথাবার্তার একপর্যায় ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দেখা করার কথা বলে ডেকে এনে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ও গত ৬ জানুয়ারি ঢাকা বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় নিয়ে একাধিক দিন ধর্ষন করে বলে মামলায় উল্লেখ্য করেন।
কুলকাঠি ইউনিয়নের আ’লীগের মনোনীত তিনবার চেয়ারম্যানসহ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম আখতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘এলাকার মেয়ে হিসেবে জনপ্রতিধি সূত্রে তাকে চিনি, তবে উত্থাপিত অভিযোগগুলো শতভাগ মিথ্যা। আমার সামনা-সামনি মেয়েটি যদি বলতে পারে তাহলে যে বিচার করা হবে আমি সেই বিচারই মেনে নেব।’