মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলার টেকনাফের কেরুনতলীর গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৫। এসময় ৬ টি অস্ত্র ও ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আজ রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে খায়রুল আমিনকে আটক করা হয় । সে উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার ক্যাম্প -১ এর এফ -ব্লকের মৃত মোস্তাফিজের ছেলে।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক ( ল ‘ এন্ড মিডিয়া ) ও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন জানান, টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় খায়রুল আমিন ডাকাত গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম । দীর্ঘদিন যাবৎ তারা খুন ,গুম, অপহরণ,চাঁদাবাজি , ডাকাতি ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে । রাত হওয়ার সাথে সাথেই উক্ত এলাকার আতঙ্ক সৃষ্টি করে এই ডাকাত গ্রুপ । এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ধরতে গত ২-৩ মাস ধরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ।
তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কাস্টমঘাট এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ওৎ পেতে থাকে । একপর্যায়ে রাতে অভিযান চালিয়ে খায়রুল আমিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় । এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ১ টি দেশীয় পিস্তল ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ।
তিনি আরও জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে আরো জানায়, একদল ডাকাত টেকনাফ থানাধীন কেরুনতলীর গভীর অরণ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে । পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের ভিতরে অভিযান চালানো হয় । এসময় কতিপয় ডাকাত একটি বস্তা ফেলে অন্ধকারের মধ্যে পাহাড়ের ভিতরে পালিয়ে যায় । পরে বস্তার ভিতর হতে ৩ টি একনলা বন্দুক , ২ টি থ্রি – কোয়ার্টারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায় । উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসমূহ নাশকতা এবং ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মজুদ করছিল বলে আসামী স্বীকার করে ।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল উদ্দিন।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৯ঃ১০পিএম