বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার বিএডিসিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে পরেছে উক্ত খামারের চাষাবাদ। স্বরজমিনে জানাগেছে পাঁচশত পনের একর জমির উপর অবস্থিত এই খামারের অধিকাংশই নিচু জমি হওয়ায় উক্ত খামারে সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। আর সে কারনেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় ক্ষেতের মুল্যবান ফসল। এভাবে প্রতিবছর ক্ষতি হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা।জানাগেছে ইতিপুর্বে এই খামারের পানি প্রবাহের জন্য খামার থেকে শুরু হয়ে খামারের দক্ষিণ পুর্ব কোণঘেষে নলঝুরি দোলা হয়ে ভেলসির দোলার উপর একটি নালা খনন করা হয়েছিল এবং সেই পানি এই নালা দিয়ে সোনারায়ের কলন্দর নদি হয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কালের বিবর্তনে জনবসতি বেশি হওয়ায় সেই নালা ভরাট করে অনেকে বসতবাড়ী ও আবাদি জমি হিসেবে চাষ করছে আর সে কারনেই সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে থাকে পানি। শুষ্ক মৌসুমে ও এই খামারের মাটি কাদা ও ভেজা থাকার কারনেই আগাম জাতের বীজ আলু উৎপাদন করতে পারেনা খামার কতৃপক্ষ । কিন্তু বর্তমানে উক্ত খামারের উপপরিচালক আবু তালেব মিঞার ঐকান্তিক চেষ্টায় খামারের ভিতরের পানি নিষ্কাশনের জন্য গত ২০২০/২১ -অর্থবছরে -প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে সারে পাঁচ কিলোমিটার নালা খনন করা হলেও বাহিরে পানি প্রবাহের ব্যাবস্থা না থাকায় কাজে আসছেনা এই নালা।এবিষয়ে উক্ত খামারের উপপরিচালক প্রতিবেদককে বলেন যে এই খামারের পার্শবর্তি এলাকা খমাত পাড়া, টংবান্ধা, কৈগিলাসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার পানি এই খামারের ভিতরে প্রবেশ করে আর এখানকার পানি বাহির হওয়ার তেমন কোন ব্যাবস্থা না থাকায় এখানে সামান্য বৃষ্টিতেই বণ্যা প্লাবিত হয়।এবং এই খামারের পানি বাহিরে প্রবাহের নালাটি আমাদের এরিয়ার বাহিরে হওয়ার কারনে আমরা এটি খননের কোন পদক্ষেপ নিতে পারছিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন যে বিষয়টি আমি দেখেছি এবং খামারের পানি নিষ্কাশন ও সাধারণ জনগণের জ্বলাবদ্ধতার সমস্যা দুর করার জন্য বাইরের এই নালাটি সরকারি ভাবে পুনরায় যেন খনন করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।