মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
গতকাল বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩;০০ টায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান এসআই মোঃ মোমিনুল হাসান।
আটককৃত আসামীরা হলেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন ভাঙ্গানগর, মুক্তু মিয়ার বাড়ীর মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৪) বর্তমানে- নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার,তক্তারপোল, দৌলত খানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন এনায়েতবাজার, জুবলী রোডস্থ কলিম উল্ল্যাহ মাস্টার বাড়ীর জহির আহম্মেদ বাবুলের ছেলে বশির আহম্মেদ রনি (৩৫) এবং বরগুনা জেলার সদর থানাধীন পুরাঘাটা এলাকার মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে । বর্তমানে-নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার, তক্তারপোল, বরার কলোনী, ফরিদা বানুর ঘরের ভাড়াটিয়া।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণমাঠ গণশৌচাগারের পাশে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করার প্রস্তুতিকালে ৩ জনকে আটক করা সম্ভব হয়। এসময় অপর ৫ জন ব্যাক্তি দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২টি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ব্যাবসায়িক এলাকা রিয়াজউদ্দিন বাজার এর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যাবসায়িদের র্টাগেট করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং তারা দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধ্যায়, রাত্রে ও ভোর বেলায় স্টেশনের ট্রেন যাত্রী, বাস যাত্রী,বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও পথচারীদেরকে অবৈধ অস্ত্রগুলি ও চাকু/ছোরার ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই ও ডাকাতি করে থাকে।
তিনি আরও জানান, আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং, হালিশহর, কোতোয়ালী ও চাঁন্দগাও থানায় অস্ত্র, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতির মোট ১১টি মামলা আছে। বশির আহম্মেদ রনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় অস্ত্র আইন ও পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৯৯/৪০২ ধারায় মোট ৪টি মামলা আছে এবং মোঃ আবুল হোসেন সজীবের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী ও বরগুনা জেলার বরগুনা সদর থানায় অস্ত্র সহ দন্ডবিধি আইনে মোট ৩টি মামলা আছে।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৬ঃ৩০পিএম