ডোমার, (নীলফামারী)প্রতিনিধি
- বুধবার ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ / ৪৯ জন দেখেছেন
একসময় গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ছিল ধানের খড়। গ্রামের মানুষের প্রথা ছিল,গোয়াল ভরা গরু,গোলা ভরা ধান,পুকুর ভরা মাছ,কৃষকের মুখ ভরা হাঁসি। ছয় ঋতুর দেশে এখনও সেসব কথা গেঁথে আছে বাঙালীর মনে। কিন্তুু ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি
ও সময়ের তাগিদে প্রযুক্তির উৎকর্ষে নির্ভর চাষাবাদ হওয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে সনাতনী পদ্ধতিতে খড়মাড়াই। গরু দিয়ে খড় মারাই এসব দেখা পাওয়া মেলা ভার, নীলফামারী জেলার সদর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনিবাড়ী গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে
হিরাম্ব চন্দ্রর বাড়িতে খড় মারাই দেখে
কথা হলে জানান,পুরান এ ব্যবস্থা
ধরি থাকির কাজ হলো,পশুর খাদ্যের
মান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা,হামরায় এই পুরান সনাতন ব্যবস্থা ধরি আছি। মেশিনে খর মাড়াই করিলে খরের গুনমান ঠিক থাকেনা হামার গরু বেশী খায়না,তাছারা মেশিন খড় নস্ট হয়। জমিনে সমান ভাবে মই দিবার জন্য গরু সচল থুবার নাগে,নাহলে কম হাটিবে,জৈব সার হিসেবেও খর ও গরুর গোবর কৃষকের চাহিদা পুরন করে। কথা হলে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ পরিচালক আবুবক্কর সিদ্দক জানান এ ব্যবস্থা
কিছু কৃষক ধরে আছে,যেহেতু দেশ
এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি বব্যহার অনশ্বিকার্য। তবে এ সনাতন পদ্ধতি কখনো আমরা বাদ দিতে পারব না।
Related