বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
৬ মাস পূর্বে গড়ে উঠা প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পরিবারের অমতে করা বিয়ের শেষ পরিণতি হয় মৃত্যু । অবৈধ সর্ম্পকের সন্দেহে কথাকাটা কাটির জেরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী হতে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী এনামুল হক (২৮)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
গতকাল ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটের সময় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক কৃত এনামুল হক টাঙ্গাইল জেলার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন চন্নপাড়া এলাকার মৃত তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মোঃ বকুল হোসেন (৪২) এর মেয়ে ভিকটিম আছিয়া আক্তার রিতু(১৭)কে গত ৭ জানুয়ারি হতে ৯ জানুয়ারির যেকোন সময় আসামী এনামুল হক অজ্ঞাত পরিকল্পিতভাবে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভিকটিমের লাশ টয়লেটের ভিতর ফেলে রেখেছে বলেগাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর শ্রীপুর থানা পুলিশ গত ০৯ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০৩০ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন কেওয়া পূর্ব খন্ড এলাকাস্থ জনৈক রতন এর বাড়ী হতে ভিকটিম আছিয়া আক্তার রিতু‘র লাশ উদ্ধার করে। বর্ণিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়, যার নম্বর-১৭ তারিখঃ ০৯/০১/২০২২ ইং তারিখ ধারা-৩০২/২০১ পেনাল কোড। এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র্যাব-১, স্পেশালাইজ্ড কোম্পানী, গাজীপুর বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, র্যাব-১, স্পেশালাইজ্ড কোম্পানী, পোড়াবাড়ী ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক আসামী সনাক্ত এবং অবস্থান নির্ণয় করে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৭নং গেইট, পূবাইল রোড (ওভার ব্রিজের নিচে) এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী এনামুলকে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত ১ টি মোবাইল ফোনসহ মোট ২ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২,০৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান,আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামী এনামুল হক এর সাথে গত ৬ মাস পূর্বে ভিকটিম আছিয়া আক্তার রিতু (১৭) এর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত দেড় মাস পূর্বে তারা দুইজনে কাজী অফিসে গিয়ে পরিবারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে। বিয়ের পর আসামি এনামুল হক (২৮) এর সাথে অন্য মেয়ের অবৈধ সর্ম্পক আছে মর্মে ভিকটিম তাকে সন্দেহ করে। পরবর্তীতে গত ৭ জানুয়ারি রাতে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী এনামুল হক ভিকটিম আছিয়া আক্তার রিতুকে তার পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ বাথরুমে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৩ঃ৩০পিএম