মোঃ তারেক মাহমুদ, বরিশাল প্রতিনিধি/
- সোমবার ৯ মে, ২০২২ / ৪৬ জন দেখেছেন
বরিশালের বানারীপাড়ায় ঝড় বৃষ্টিতে দিশেহারা কৃষক, শ্রমিক সংকটে ফসল বিনষ্টের আশংকায় কৃষকরা।ফসল আবাদ করে কৃষকরা ভেবেছিল অনেক লাভবান হবে। ঘরে ঘরে মেতে উঠবে নতুন ফসল তোলার আনন্দ। চারদিকে মৌ মৌ করবে পাকা ধানের সুঘ্রাণ। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো ঝড় বৃষ্টিতে ভাসছে ক্ষেত শ্রমিক সংকটে কৃষক। ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সোমবার দুপুর ১২ টায় যাতায়াত অবস্থায় আজকের পত্রিকার রিপোর্টারের স্বচোখে দেখা মাঠে সোনালী ফসল পানি থেকে ঘরে তোলার চেষ্টায় কৃষকের ছোটাছুটি। এই অবস্থায় বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের আহমেদাবাদ বেতালের ৭১নংমৌজার ১০ একর ১০০০ শতকের আবাদকারী কৃষক ইয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,এ বছর আমাদের ফসল খুব ভালো হয়েছিল। হঠাৎ ক্ষতিকারক কারেন্ট পোকার আক্রমণ, শ্রমিক সংকটে আর এই বৃষ্টি বৈরী আবহাওয়ায় ফসল এখন বিনস্টের মুখে। ফসল আবাদ করে আশা ছিল আমাদের খুবই লাভবান হবে কিন্তু স্বপ্ন এখন বিনস্টের মুখে।ফসল আবাদ করতে আমাদের যে খরচ হয়েছে তার খরচা উঠবে কি না তাই সন্দেহ। এখন এই অবস্থায় সকলের সহযোগীতায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালে আমরা উপকৃত হবো। কৃষক মোঃ মালেক ও মোঃ জসিম দুজনেই একই কথা বলেন ফসল ভালো হওয়া সত্ত্বেও আবহাওয়া ও পানির কারণে ঘরে কতটুকু নিতে পারব তা সঠিক জানা নেই। এছাড়াও বানারীপাড়া উপজেলা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অল্প কিছু কৃষকের আগাম ফসল পাকার কারণে এবং নিজস্ব লোকজন থাকায় ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। তাছাড়া সব জায়গাতেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। এ সম্পর্কে বানারীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ভাপসা গরমের কারণে ধানক্ষেতে পোকা হয়।তবে ধান দাঁড়ানো অবস্থায় থাকতে কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পোকা র্নিমূল হতে পারে। কিন্তু ধান নুয়ে গেলে তা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে উপ-সহকারী ও মাঠকর্মীদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে পায়রাজিন,টিডো,মিসকিন,সিসকিন বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগে
পোকা দমন করা যেতে পারে। সরকারি সহযোগিতায় বিভিন্ন ট্রেনিং ঔষধ বীজ সার দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হয়।
Related