বিশেষ প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
- মঙ্গলবার ১০ মে, ২০২২ / ৮৭ জন দেখেছেন
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪ নং কাজলদিঘী
কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান খেয়াঘাটে ইজারা ছাড়াই টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু, আওয়ামী সদস্য দেলয়ার হোসেন, রেজা, মনতাজ ও বারুনী স্নান মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিনের প্রভাবেই তারা অবৈধভাবে ওই খেয়াঘাট চালাচ্ছেন।পারাপারে অতিরিক্ত অর্থও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে এক মাস হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাদের দাবী ঘাটটির মালিকানা জেলা পরিষদ নিলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে লাখ লাখ টাকা।
বর্তমান খেয়াঘাট দুটির টোল আদায় কারিদের কাছে জানা যায়, কালিয়াগঞ্জ বাজার খেয়া ঘাটে পুর্বে ৪ জনে টোল আদায় করতো এবার চেয়ারম্যান আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করায় তাদের মাঝে দন্দ শুরু হয় এজন্যই খেয়া ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি। তবে সমঝোতায় ঘাটের মুল্য ৪লাখ টাকা নির্ধারণ করে ৬ জনের কাছে চেয়ারম্যান ৩ লাখ টা নিয়ে নেয়। বাকি এক সপ্তাহ পরে ১ লাখ টাকা চেয়ারম্যান কে দিতে হবে।একই অবস্থায় রয়েছে বারুনী স্নান ঘাটের সেখানে ও মন্দির কমিটি খেয়া ঘাটটি দখলে নিয়ে টোল আদায় করতে থাকে সেটাও সমঝোতায় ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ হয়ে ২ লাখ টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে নেয় বাকি ১লাখ টাকা পরে চেয়ারম্যান কে দিতে হবে বলে জানায়।
জানা যায়,পঞ্চগড় জেলায় খেয়াঘাট গুলো প্রতিবছর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেয়া হয়।তবে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান ঘাট দুটি অজ্ঞাত কারনে বাদ দেওয়া হয়।এদুটি ঘাট ইজারা দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি বছর ৬-৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এ ঘাটে। ইজারা দেয়া হয় বৈশাখ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্তু এবছর বৈশাখ মাসের শেষেও ইজারা দেয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন। তবে ঘাটের টোল আদায়কারীরা জানিয়েছেন, ঘাট ইজারার জন্য চেয়ারম্যানকে টাকা দেয়া হয়েছে। করতোয়া নদীর ওই খেয়াঘাট দিয়ে ২-৩ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও জেলার কিছু অংশের মানুষ ব্যবহার করেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খেয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিতে পারবে। এর বেশি হলে জেলা পরিষদের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে। যদিও ৬-৭ লাখ টাকা প্রতি বছর রাজস্ব আদায় করে ইউনিয়ন পরিষদ।তারপরেও জেলা পরিষদে হস্তান্তর না করে, নিয়ম বহির্ভূত দখল করে আছে।
ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন এই খেয়াঘাট পার হয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াতে ২০ টাকা টোল দিতে হয়। মোটরসাইকেল পার করতে লাগে ৪০ টাকা।
এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ পারাপার হন।
আ.লীগ নেতা সালাউদ্দিন বাবু জানান,
খেয়াঘাটের ইজারাদার দেলয়ার হোসেন। তবে চারজন শেয়ারে পরিচালনা করছি। এবছরের জন্য চেয়ারম্যানকে টাকাও দিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বলেন,ঝামেলা ছিল, ইজারা এখনো দেয়া হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।
Related