তানভীর আহমেদ সিনিয়র রিপোর্টার
- বুধবার ১১ মে, ২০২২ / ৬৩ জন দেখেছেন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন একটি পুকুরের পাড় রক্ষা বাঁধের সরঞ্জামাদি (ড্রামসীট) বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক লীজ গ্রহীতার নামে। জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের জগদল গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মোহাম্মাদ মানিক মিয়া জেলা পরিষদ থেকে খননকৃত পুকুরটি লীজ নেন বাংলা (১৪২৯-১৪৩০-১৪৩১) সন তিন বছরের জন্য। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের জগদল গ্রামের ঐ পুকুরে মঙ্গলবার (১০ মে) সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ও জানাযায় কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের মালিকানাধীন হোসেনপুর উপজেলার জগদল গ্রামের (মৌজার) পুকুর পাড় রক্ষা বাঁধের উপরের সারির সরঞ্জামাদি (ড্রামসীট) সবগুলি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অবৈধভাবে খুলে নিয়ে মোটা অংকের টাকায় স্থানীয় ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছে লীজ গ্রহিতা জগদল গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মোহাম্মদ মানিক। নীচুসারির কয়েকটি ড্রাম সিট এখনও পুকুরের পানির সাথে মিশে রয়েছে। পুকুরটিতে কাঁটাতারের বেড়া ও পাড়ের উপরে ইটের সলিং রয়েছে চার পাশ জোড়ে। পুকুরের প্রবেশদ্বারে একটি সুসজ্জিত গেইট রয়েছে।
পুকুর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা আতাব উদ্দিন ও পুকুরের উত্তর পাড়ে হিন্দু ধর্মাবলীদের উপাসনালয় (আশ্রম মন্দিরের) পুরুহিত বাবু গোপাল চন্দ্র বলেন মানিক মিয়া ড্রামসীটগুলি খুলে নিয়ে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছে। ড্রামসীট খুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার ফলে পুকুর পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি মন্দিরের স্থাপনা সহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পার্শ্ববর্তী এলাকা নৈপুরূরা গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দপুর ইউপির সাবেক সদস্য আবু তাহের বলেন আমি নিজে দেখেছি মানিক এগুলি
(ড্রামসীট) নিয়ে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করেছে।
জগদল (কান্দিপাড়া) গ্রামের ভ্যানচালক ও ক্ষুদ্র ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন জানান ২০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে আমি পুকুর পাড় থেকে ড্রামসীটগুলি আমান সরকার বাজারে ভাঙ্গারির দোকানে নিয়েযাই এ সময় মানিক সাথেই ছিল। স্থানীয় আমান সরকার বাজারের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী রুহেল জানান মানিক মিয়া আমার কাছে (৮০ পিচ) সাড়ে ছয় শত কেজি ড্রামসীট বিক্রি করে। আরোও কিছু সীট দেবে বলে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। অভিযুক্ত লীজ গ্রহিতা মোহাম্মদ মানিক মোবাইলে সাংবাদিকদের বলেন কর্তৃপক্ষ আমাকে আগামী তিন বছরের জন্য লীজ দিয়েছে এখন আমি মালিক, তাই আমি ড্রামসীটগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। তিন বছর পর বিক্রিকৃত মালামাল জেলা পরিষদ কে ফেরৎ দিয়ে দিব।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রতিবেদককে বলেন আপনাদের মাধ্যমে প্রথম জানলাম, আগে কেউ জানায়নি। আমরা লোক পাঠিয়ে খতিয়ে দেখছি। লীজগ্রহীতা লীজের শর্ত ভঙ্গ করলে তার লীজ বাতিল করা হবে। এ ঘটনায় সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান। তিনি আরোও জানান পুকুরটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে খননসহ অবকাঠামগত মান উন্নয়ন করা হয়েছে।
Related