দেশের ঐতিহ্যবাহী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, কক্সবাজারের নবঘোষিত ঈদগাঁও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে স্থবিরতা কাটিয়ে এবার আশা জাগাচ্ছে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও খুশির আমেজ দেখা দেয় কর্মীদের।
দীর্ঘকাল পর কক্সবাজার সদর উপজেলা থেকে আলাদা হয়ে ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগ। কিন্তু সে নতুন উপজেলা শাখা গেল ১২ মে একটি বর্ধিত সভা করে। এ সভায় উপজেলার আওতাধীন ৫টি ইউনিয়ন ইসলামপুর,ইসলামাবাদ পোকখালী,জালালাবাদ ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে বর্ধিত সভাসহ অসমাপ্ত ওর্য়াড় কমিটি সম্পন্ন করতে তাগাদা দেন ইউনিয়ন সভাপতি ও সম্পাদককে।
সেই সূত্রের আলোকে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয়ভাবে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘবছর ধরে কমিটিতে থাকা নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নতুন নেতৃত্বে আসতে মরিয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা। এমনকি তারা নিরবে নিভৃত্তে কিংবা প্রকাশ্যে সে পুরনো কাউন্সিলদের সাথে যোগাযোগ রক্ষাসহ সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন। ইতিমধ্যে ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিকভাবে ৫টি টিমও গঠন করেছে উপজেলায় স্ব স্ব ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে।
বিগত ১৪ মে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কর্মী সভা করে অসমাপ্ত ৭টি ওয়ার্ড়ের সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করে। ঠিক একইভাবে ১৮ মে জালালাবাদে ২টি ওয়ার্ড় সম্মেলন করার কথাও রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে মতে, উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে চমক দেখাতে পুরনো কাউন্সিলার সাথে যোগাযোগ রক্ষাসহ হরেক রকম কৌশল নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক যুব ও ছাত্রনেতারা। তাছাড়া অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৃণমূলের সমর্থন, দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। একদম তৃণমুল কর্মীদের কাছাকাছি যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা নেতারা।
ইতিমধ্যে ইসলামপুরে চারজন আ,লীগ নেতা সভাপতি পদে প্রার্থীতা ফেষ্টুন আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষনা দিয়েছেন। ঈদগাঁওতে সাধারন সম্পাদকে তিনজন প্রার্থী মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রার্থীরা মোটামুটি পর্যায়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও এক সূত্রে প্রকাশ।
তৃনমূলের এক নেতা জানান, ইউনিয়ন কাউন্সিলে দীর্ঘসসয় ধরে আন্দোলন সংগ্রামে, মাঠে ময়দানে যাদের শ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষা রয়েছে। সে সাথে সৎ, সাহসী নেতাদের বিষয়ে এবার চিন্তাভাবনা করা হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সুন্দর ও সু-শৃংখল পরিবেশে দল গোছাতে ব্যাপক পরিসরে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তৃনমূলের নেতারা। যারা দলের মিছিল মিটিংয়ে সাবক্ষনিক সাড়া দিয়েছিল তাদেরকে কাউন্সিলার করার দাবীও জানান।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক রাসেল উদ্দিন রাসেদ এ প্রতিবেদককে জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা যারা ছাত্রলীগ-যু্বলীগ করেছি, তারা যদি আওয়ামী লীগে আসতে পারে, তাহলে তারুন্যে নির্ভর মূলদল আরো শক্তিশালী হবে এবং দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চাঙ্গা হবে। নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে দলকে এগিয়ে নেবে। এ প্রত্যয় নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক থেকে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছি।
জালালাবাদ ইউনিয়ন আ,লীগ সদস্য ও সাবেক সদর সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা নুরুল আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ও দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আগামী কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষনা দিয়েছি।
পোকখালী আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাহের আহমদ জানান, ২০ মে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা। যথা নিয়মে সাংগঠনিক ভাবে মাঠ গোছাতে প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছি।
মুক্তিযোদ্বার সন্তান ও জেলা শ্রমিকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দলের দু:সময়ে যারা রাজপথে সংগ্রাম করে শ্রম দিয়েছিল এবং আওয়ামী পরিবারের সন্তান তাদেরকে আগামী ইউনিয়ন কাউন্সিলে মূল্যায়ন করা হউক। নব্য আওয়ামীলীগ ও হাইব্রীড নেতাদের বয়কট করা হবে।
ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক, সাবেক ছাত্র নেতা আবু তালেবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দলের ত্যাগী,পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে যথা নিয়মে ইউনিয়ন সম্মেলন ও কাউন্সিল সু-সম্পন্ন করা হবে।