রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
র্যাব-৪ এর অভিযানে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণা মূলকভাবে অন্যের নামে বিভিন্ন এনজিও খেকে ঋণ উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার।
গত ১৯ মে সকাল ১০.৫০ টার সময় অভিযান চালিয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫২) ও আসমা খানম শিল্পী (৩৮) কে আটক করা হয়।
র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, একজন নারী ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে, সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক
আছমা খানম ওরফে শিল্পী এবং তার ̄স্বামী শহিদুল ইসলাম এলাকার বিভিন্ন দরিদধ নারীদের বিভিন্ন সরকারী পধকল্প হতে ত্রাণ/ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও ক্ষুদধ ঋণ পধদানকারী সংস্থা হতে ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করে আসছে। এছাড়াও অভিযুক্তরা বিভিন্ন মেয়েদের কাছ থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বামী স্ত্রী কে আটক করা হয়। এসময় স্বর্ণের তৈরী১টি হাতের চুড়ি, ২ টি কানের দুল, ৫৫ টি পাশ বহি, ভূ৩ভোগীদের ৫০ টি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ৩ টি চেক বহি, ৬ টি রেজিস্টার, ১ টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা প্রতারণার কথা ̄স্বীকার করেছে। উভয়ের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সাভার থানাধীন মধ্যকাউন্দিয়া এলাকার সাধারণ নারীদের বিভিন্ন চাকুরীর পধলোভন দেখিয়ে এবং ব ̈বসার নামে পধতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও আছমা খানম নানা কৌশলে অল্প বয়সী মেয়েদের বিভিন্ন পধলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করাসহ মেয়েদের
বিক্রি করে দেওয়া এমনকি নারী পাচারের কাজে জড়িত।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ভবিষ্যতে এরুপ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা ।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৯ঃ২০পিএম