সোমবার, ২৭ Jun ২০২২, ১১:০০ অপরাহ্ন
যশোরে কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে। পাঁচ মিনিটের ঝড়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ দশ কোটি টাকা বলে কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। এতে সদর উপজেলা এলাকার ছয়টি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একশ’ হেক্টর সবজি ক্ষেত। আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্ষেতের মাঝারি সাইজের পাট নুয়ে পড়েছে। ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার গতিবেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ির চালের টিন উড়ে গেছে ও উপড়ে গেছে শতাধিক গাছ।
সদর, চুড়ামনকাটি, হৈবতপুর, কাশিমপুর, ইছালী ও লেবুতলা।
যশোর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সকালে পাঁচ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে মানুষ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যশোরের ছয়টি ইউনিয়নের মানুষের শতাধিক বাড়িঘরের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে আরো শতাধিক বাড়িঘর ও গাছপালা। হৈবৎপুর ইউনিয়নে রসূলপুর সুজন সংঘের টিনের চাল উড়ে গেছে। যশোর শহরের টালিখোলা এতিমখানা ও মাদ্রাসার টিন উড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শীতের আগাম চাষ করা সবজির সদর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের একজন প্রবীণ ব্যক্তি জানান, এই ঝড়ে চিরচেনা গ্রামগুলো সবই অচেনা মনে হচ্ছে। চারিদিক ঘরবাড়ি ভেঙে ও গাছপালা উপড়ে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল এ ঝড়। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের তান্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে আচমকা যশোরাঞ্চলের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এ ঝড়ের স্থায়ীত্ব ছিল ৫ থেকে ৭ মিনিট। ঝড়ের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার। যশোরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে ঝড়টি বয়ে যায়। এসময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১০ মিলিমিটার। আচমকা ঝড়ে সদর উপজেলা এলাকার পাঁচটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়।