নিকলী,কিশোরগঞ্জ,সিনিয়র রিপোর্টার
- সোমবার ২৩ মে, ২০২২ / ৮৭ জন দেখেছেন
ফসলি জমি থেকে গরু দিয়ে ধান খাওয়ানুকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাল্লাবাদ গ্রামে প্রতিপক্ষের আঘাতে রেনু মিয়া নামের এক কৃষক মারা যায়। ঘটনার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি নিকলী থানা পুলিশ।
জানাযায় নিহত রেনু মিয়া উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাল্লাবাদ গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। ভুক্তভোগী বলেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির আউয়াল প্রায়ই গরু দিয়ে কাঁচা ধান খাওয়াতো। গত ২৭শে এপ্রিল বুধবার দুপুরে আবারো আউয়াল তার গরু দিয়ে ধান ক্ষেত খাওয়ান। এনিয়ে নিহত রেনু মিয়ার স্ত্রীকে আউয়ালের ছেলে পায়েল জানান পায়েল তখন কিপ্ত হয়ে গালাগালি করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। স্ত্রীর কাছে ঘটনা শুনে রেনু মিয়া পায়েলের বাবা আউয়ালের কাছে বিচার দিতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পায়েলসহ ৬-৭ জনে ধরে মারধর শুরু করে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান নিহত রেনু মিয়া নিরীহ প্রকৃতির কৃষক ছিলেন তাকে একা পেয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তাকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে লাশ রেখে পালিয়ে যাই অভিযুক্তরা। পরে পরিবারের লোক খবর পেয়ে লাশ এনে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করে। নিহত রেনু মিয়ার ছেলে নুর মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আউয়াল, পায়েল, কুলসুম আক্তার, চাঁন মিয়া, জালাল, জমরুদ মিয়া,বাবুল মিয়া,সাতজনকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।আসামিদের বিচার নিয়ে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর শঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুক্তভোগী পরিবার ও গ্রামবাসী আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
এ বিষয়ে নিকলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনসুর আলী আরিফ বলেন ঘটনার পর ৭ জনকে আসামি করে নিহত রেনু মিয়ার ছেলে নুর মিয়া এজাহার দায়ের করে। আসামিদের ধরতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।আসামিদের বিচার নিয়ে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর শঙ্কিত।
Related