সোমবার, ২৭ Jun ২০২২, ১১:৪২ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মঙ্গলবার (২৪মে) দেশ স্বাধীনের সাহসী অগ্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে উপজেলা অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খান এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধা এবং পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা বাচ্ছু হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা এবং ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার তালুকদার সরোয়ার হোসেন,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খশরু জোমাদ্দার,মুক্তিযোদ্ধা আলী বাহাদুর খান, মো. সেলিম পঞ্চায়েত,বজলুর রশিদ মৃধা,আব্দুল কাদের মুন্সি,রমেন দত্ত, মো. হাবিবুর রহমান,মানিক সিকদার,মো. শাহাবুদ্দিন,সন্তান কমান্ডের শিমুল রেজা,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অনামিকা রায়,হাসান মুন্সি,মো. মাছুম হাওলাদার ও শাহাদাত খলিফা প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক সিকদার, জাতীয় পার্টি-জেপির উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মো. গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার , থানার ওসি তদন্ত মো. মেহেদী হাসান এবং পৌর সভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানখ্যাত জেষ্ঠ্য মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে শেষ জীবনে একটি শান্তির আশ্রয়ের জন্য সরকার “বীর নিবাস”নামে একটি ঘর প্রদান করেছেন।
এ কাজ জেলা ,উপজেলার পর তিন হাত পার হয়ে চতুর্থ দফায় প্রাপ্ত ঠিকাদার সে ঘরের নির্মান কাজ শুরু করে। তারা কাজ শুরু করার পরে যার অনুকূলে ঘর বরাদ্ধ হয় তাকে বা তার পরিবারকে বলা হয় এক শ্রেণির প্রভাবশালী অসাধু ঠিকাদার বলেন এটি মজবুত করে করতে হলে আপনাদের কিছু সিমেন্ট বা বালু বা লেবারদের খাওয়াতে হবে। যারা তা মানতে পারে তাদের কাজ দ্রুত হয় আর যারা মানতে না পারে তাদের কাজ পরে থাকে। যেটা স্বাধীন দেশে কাম্য নয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা বিএনপি সরকারের সময় নাম মাত্র হলেও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতী এবং সম্মান দিয়ে ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি বীর নিবাস নামে একটি ঘরের ব্যবস্থাও করেছেন যা পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন। আমরা কারো অনুগ্রহ চাইনা যদি পারেন যথাপোযুক্ত সম্মান দিন না হলে লোক দেখানো দানের প্রয়োজন নেই। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যপি আলোচনা সভায় বক্তারা স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রনিধি,সাংসদ ও সর্বপরী প্রধান মন্ত্রীর গোচরে আনার জন্য স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট বিষয়ক যে কোন সিদ্ধান্তে স্থানীয় পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের সম্পৃক্ততা এবং বীর নিবাস গড়তে ঠিকাদার নয় বাংলাদেশ সেনাবাহীনির সদস্যদের মাধ্যমে নির্মান কাজ সম্পন্ন করার আহবান জানান। পরে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাজ তদারকি করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় ঐ সভায়।
বিএস/কেসিবি /সিটিজি/৮ঃঃ৪৫পিএম