সাখাওয়াত হোসেন সাকা, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
- মঙ্গলবার ৩১ মে, ২০২২ / ৭৮ জন দেখেছেন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি, উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূইঁয়ার উপর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৩০মে) সন্ধ্যায় রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হযরত শাহমিরান দরগা বাড়ির উত্তরে চাওল বাড়ির সামনে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকাবাসী আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা ভূইয়াকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন৷ এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতেই গোলাম মোস্তফা ভুইঁয়া বাদী হয়ে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাছেল মাহমুদ রাজ, সাধারণ সম্পাদক নাহিম হোসেন, যুবলীগের নেতা মোর্শেদ আলমসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে৷
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভুইঁয়া রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থা বলেন, তিনি রাজনীতির পাশাপাশি উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্বে রয়েছেন। একজন গ্রাহকের জমিনের একটি দলিল গ্রহীতাকে দিতে কাটাখালী দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দরগা বাড়ির উত্তরে চাওল বাড়ির সামনে মেইন সড়কে তাঁর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে প্রতিরোধ করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ রাজ, সাধারন সম্পাদক নাহিম হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, লাথিসহ শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন আমার সাথে কারো কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই৷ একমাত্র রাজনীতির বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে৷ আমি আগামী ইউনিয়ন সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী। এটাকে কেন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির মোল্লার ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আরো জানান৷
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন খাঁন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। শুনেছি ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা হয়েছে। এই মুহুর্তে বিস্তারিত কিছুই জানি না। পরে খবর নিবো।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লা জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা ঘটনা শুনে আমরা কাটাখালী গিয়েছি। গোলাম মোস্তফা ভুইঁয়ার উপর হামলার ঘটনা জানেন না।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাছেল মাহমুদ রাজ, চৌধুরী বাজার একটি ওষধ দোকানে বসে বলেন, আমার উপর হামলার ঘটনা সত্য নয়। এটি বানোয়াট। একথা বলে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির মোল্লা, যুবলীগের নেতা মোরশেদ আলমের ইন্ধনে তড়িগড়ি স্থান ত্যাগ করেন।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভুইঁয়ার ছেলে শাহ পরান, যুবলীগের নেতা আব্দুর রব, বাবুল হোসেন, শ্রমিক লীগ নেতা বিলাল হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা ভুইঁয়া আওয়ামীলীগের দু:সময়ে রাজপথ কাঁপানো নেতা। বিএনপি -জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। তিনি হামলা-মামলা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রামগঞ্জের রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার দাবী করেছি।
থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ময়নুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদেরকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।