রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন
স্বামীকে তাবলিকে পাঠিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্বর্ণালঙ্কারসহ উধাও ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী; অতঃপর র্যাবের হাতে আটক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়া এক ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীসহ (২৩) দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ১১ টায় তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত সামিরা খাতুন সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রগাঁও গ্রামের মেইকার বাড়ির গোলাম নবীর মেয়ে এবং সালমা আক্তার সদর উপজেলা ধর্মপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির আবদুল লতিফের (ছদ্মনাম) স্ত্রী।
এদিকে রাতে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইতালি প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার ভোর ৫টায় নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ছদ্মনামের সামিরা খাতুন (২৩) ও সালমা আক্তারকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার ১৫ জুন প্রবাসী হুমায়ুন কবির (৩৩) র্যাব-১১ ক্যাম্পে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে। অভিযোগের আলোকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান এ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের নিকট থেকে একটি স্যামসাং এন্ড্রোয়েড মোবাইল, এক জোড়া স্বর্ণের বালা, ২টি স্বর্ণের নেকলেছ, ৪ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ৪টি স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের হাতের ব্রেসলাইট, ৩টি স্বর্ণের চেইন, ৫টি স্বর্ণের আংটিসহ ১৫ ভরি চোরাই যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য ১২ লক্ষ চার হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল কথাবার্তার ও ছবির স্ক্রীনশট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় ভুক্তভোগী প্রবাসী লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, মো. হুমায়ুন কবির একজন ইতালী প্রবাসী। ইতালি থাকার সুবাদে তার স্ত্রী সামিরা খাতুন (২৩) (ছদ্মনাম) ফারুক হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি তার শ্বশুর-শাশুড়ি জানতে পেরে তার স্বামী হুমায়ুন কবিরকে জানায়। খবর পেয়ে ৫ মাস আগে তার স্বামী ইতালি থেকে দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর তিনি লক্ষ্য করে তার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার অগোচরে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর পর স্ত্রীকে সংশোধনের চেষ্টা করলে স্ত্রী তাকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখান। গত ১২ জুন হুমায়ুন ৩ দিনের জন্য সোনাইমুড়ীর শানারবাঘ জামে মসজিদে তাবলিগ জামাতে যায়। এ সুযোগে ১৪ জুন সকাল ১০টার দিকে শাশুড়িকে ঔষধ আনার কথা বলে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং মোবাইল সেটসহ সে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/১ঃ১০পিএম
