রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
কমল চক্রবর্তীঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধানঃ
চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন!
আজ রবিবার (১৯ জুন) সকাল ১০.০০ টা থেকে চলমান উচ্ছেদ অভিযানে পূর্ব ফিরোজশাহের ১ নং ঝিল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ১৮০টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব-৭ , ব্যাটালিয়ন আনসার, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার এবং সেচ্ছাসেবক দের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এর সার্বিক তদারকিতে মোঃ উমর ফারুক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, কাট্টলী সার্কেল,মোহাম্মদ আল আমিন সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, আগ্রাবাদ সার্কেল, মোঃ মাসুদ রানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, চান্দগাঁও সার্কেল, এর নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ যে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেখানে পুনরায় কেউ যাতে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে সেজন্য কাটা তার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে গাছ লাগানো হবে। রোববার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে পূর্ব ফিরোজশাহের ১ নং ঝিল এলাকায় ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে কাটা তারের বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। যদি কেউ এ সীমানা ভেঙে বসতি গড়ে তুলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আমরা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকেও বলেছি তাদের আওতাধীন পাহাড়ী জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে কাটা তারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সংরক্ষণ করতে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায় তারা ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে যাতে পাহাড়ে বসবাসরত মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।সকলকে পাহাড় থেকে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রতিনিয়ত মাইকিং ও ঘরে ঘরে গিয়ে আহবান জানাচ্ছে যাতে যেকোন ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে পারে।
বিএস/কেসিবি /সিটিজি/৬ঃঃ২০পিএম