ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর :
নাসিরনগর উপজেলা মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলের জমি গুলো বন্যার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ।
আর ঐদিকে ব্রাক অফিস , আশা ,গ্রামীণ ব্যাংক, পদক্ষেপ , বুরো বাংলাদেশ , ইত্যাদি এনজিও গুলো প্রতিদিনই কিস্তি আদায়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে দরজার কড়া নাড়ছে । অনেক ভুক্তভোগীরা জানান আমরা বর্তমানে ভাত খেতে পারছি না , কোথায় থেকে নিয়ে আসবো কিস্তি টাকা ।
নাসিরনগর সদর কামারগাঁও ঋষিপাড়ার সুরঞ্জন ঋষি বলেন আমি সিলেট জুতা কাজ করে আমার সংসার চলত , আমি এনজিও আশা সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন নেই , বেশকিছু কিস্তি পরিশোধ করে দিয়েছি বর্তমানে সিলেট শহরে বন্যার পানি এ তলিয়ে যাওয়ায় আমার দোকানের মালামাল আর বাসায় আসবা পত্র সব বন্যার পানি নিয়ে গিয়েছে । এখন আমি আর আমার ফ্যামিলি নিয়ে সিলেট ছেড়ে দেশের বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছি।
নাসিরনগর সদর ঋষিপাড়া রাখাল ঋষি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি কে বলেন আমরা নিজেরাই ভাত খেতে পারছি না কোথায় থেকে দিমু কিস্তির টাকা ।
এমন ধরনের অভিযোগ অনেকেরই আছে।
নাসিরনগর উপজেলা বন্যার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ।
সবাই বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিস্তি বন্ধ করার জন্য আকুল আবেদন জানান।
নাসিরনগর উপজেলা ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮ টি ইউনিয়ন পানিবন্দি আছেন ।