ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শহর এলাকা সহ গ্রামাঞ্চলের উঁচু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে বন্যার পানি নামলেও আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো রয়েছেন হাজার- হাজার মানুষ। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘর বাড়িতে বন্যার পানি নামছেনা। সারা দেশের সাথে এখনো ছাতকের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে বিচ্ছিন্ন। লাখো মানুষ পানিবন্দী ও কর্মহীন। ভয়াবহ বন্যায় এখানে বিধস্ত হয়েছে কয়েক হাজার কাচা ঘরবাড়ি। ঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ।বন্যার পানিতে ভেসে গেছে হাজার- হাজার গবাদিপশু। ত্রাণ বিতরণ ও মানুষের পুনঃবাসনে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্ময় করে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর একটি দল। মঙ্গলবার উপজেলার ফকিরটিলা বেদে পল্লী ও আশ্রায়ন প্রকল্পের পরিবারের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান। এ সময় ৫ শ পরিবারের মধ্যে তিনি রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। খাবার বিতরণ কালে সহকারী কমিশনার ইসলাম উদ্দিন,প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইসলামপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গনেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি এসব আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা অসহায় মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার ও নগদ ২ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছেন। উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অব্যাহত ভাবে ত্রাণ বিতরণ চলছে। সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বে- সরকারি ভাবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যাক্তি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় এ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। এদিকে উপজেলার ভাতগাও, সিংচাপইড়, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা,দক্ষিণ খুরমা,ছাতক সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া যাচ্ছনা। এসব অঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় এবং নৌকা নিয়ে প্রবেশ করতে না পারায় খাদ্য সামগ্রী দেয়া যাচ্ছেনা। এখানের বন্যা কবলিত লোকজন খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে খাবার বিতরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সরকারি বরাদ্দের ৬০ মে.টন চাল ইউনিয়নে-ইউনিয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। শহর ছাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন।এরমধ্যে সকল এলাকার মানুষ ডাকাত আতংকে ভুগছেন। সারারাত কাটাচ্ছেন গ্রাম পাহারা দিয়ে।##
২২,৬,২০২২