মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গতকাল শুক্রুবার ২১ জানুয়ারি রাতে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক চৌকস দল চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আজ শনিবার ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর সদর দপ্তর পতেঙ্গায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো- সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুন, নুরুল আফসার, নুরুল কাদের, হাসান, আবদুল হামিদ, ইউসুফ, আবু বক্কর, গিয়াস উদ্দিন, শফিউল আলম ওরফে মানিক, আবদুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, সুলতান আহম্মদ ও মনজুর আলম।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি বরিশালের বরগুনা থেকে ১৭ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য র্যাব-৮ থেকে সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে একই ঘটনায় অপহৃত ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে র্যাব-৭ বরাবর একটি অভিযোগ দয়ের করা হয়। র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা বিভাগ, র্যাব-৭ ও র্যাব-৮ ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের ব্যাপক আভিযান পরিচালনা করে। জলদস্যুরা র্যাবের অভিযান টের পেয়ে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়। তবে আনোয়ার নামে একজনকে আটকে রাখে। তারা মূলত কুখ্যাত জলদস্যু কবীর বাহিনীর প্রধানের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করে।
আরও পড়ুনঃ
গাজীপুরে শিশু ধর্ষণকারী মোঃ মোকতার হোসেন আটক
উখিয়ায় মোহাম্মদ ইসমাইল নামে এক ভূয়া দন্ত চিকিৎসক আটক
ময়মনসিংহ থেকে অপহৃত এক ভিকটিমকে ঢাকার কাফরুলে উদ্ধার;২ অপহরণকারী আটক
মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
পরে জলদস্যু প্রধান কবীরকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে র্যাব-৭। অভিযানের প্রথমে নুরুল আফসার, হাসান ও মামুনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী অন্য জলদুস্যুদের চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ান শুটারগান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি কিরিচ, ১টি ছোরা, ১টি রামদা ও ২টি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়।
এস এম ইউসুফ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অপহরণের শিকার আনোয়ার হোসেন সম্পর্কে র্যাবকে জানান, অপহৃত জেলেদের ব্যাপক নির্যাতনের ফলে জেলে আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে নিরীহ জেলে আনোয়ার হোসেন অসুস্থ বোধ করলে তাকে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ইউসুফ আরও বলেন, নূরুল কবীর মূলত এই দস্যু বাহিনীর প্রধান। তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করত মামুন। আর নৌকা ভাড়া করত ইউসুফ। তারা চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া ও বরিশালের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় দস্যুবৃত্তি করত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
বিএস/কেসিবি/সিটিজি/৯ঃ৪০পিএম