স্পোর্টস ডেস্ক:
নিউইয়র্কের নাসাউ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে কম কথা হয়নি। একদিন আগেই ভারতের দেওয়া ১০৬ রানের টার্গেট পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান।
পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৪ রানের লক্ষ্য মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের চিত্রনাট্য প্রায় একই। পাকিস্তান হেরেছে ৬ রানে আর বাংলাদেশ হার মেনেছে ৪ রানে। শেষ দিকে টাইগার ব্যাটাররা যেন শক্তি হারিয়ে ফেলেন। অনেক চেষ্টা করেও কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-জাকের আলী অনিক। বার্টম্যানের করা ১৭তম ওভারের শেষ বলে স্লটে পেয়ে দারুণ এক কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। বাংলাদেশের ইনিংসে সেটি ছিল সর্বশেষ বাউন্ডারি। সে সময় দরকার ছিল ১৮ বলে দরকার ২০ রান। পরের ওভারে হৃদয় আউট হয়ে গেলে বাকি ১৮ বলে বাউন্ডারির দেখা পায়নি টাইগাররা। স্বাভাবিকভাবে বাউন্ডারির অভাবে ম্যাচটি হারতে হয় বাংলাদেশকে।
আরও একটি বড় প্রশ্ন তুলতে পারেন টাইগার সর্মথকরা। বাংলাদেশের ইনিংসের বার্টম্যানের করা ১৭তম ওভারে ফুললেংথের বলটি আড়াআড়িভাবে খেলতে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে না লেগে বলটি তার হাই প্যাডে আঘাত হানে। প্রোটিয়া ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে রিয়াদকে এলবিডব্লও দেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে। বেঁচে গেছেন মাহমুদউল্লাদ। তবে সেই বলে লেগবাই থেকে চার হয়েছিল। কিন্তু সেই রানটি পায়নি বাংলাদেশ। কারণ মাহমুদউল্লাহকে আম্পায়ার আউট দেওয়ায় সেটি ডেড বল হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশ কিন্তু হেরেছে এই চার রানেই!
আম্পায়ার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভুল আউট না দিলে, লেগবাইতে সেটি বাউন্ডারি পেতে বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে যোগ হতো সেই চার রান। অসময়ে তাওহীদ হৃদয়কে দেওয়া হয় আউট, যা ছিল আম্পায়ার্স কল। অন্য রকম হতে পারত এই সিদ্ধান্তটিও।