০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আগামী নভেম্বরে দেশে শুরু হবে ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো

রাজিব দে, প্রতিনিধি ঢাকা

 

তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩।আগামী ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রাঙ্গনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) এই বিশাল মেলার আয়োজন করছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের শিল্প-কারখানায় কীভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছে রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ভবিষ্যতে দেশের মধ্যে তৈরি হবে। সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার। এ জন্য কারখানার যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কোনো অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন নেই। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইসাবের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর তার স্বাগত বক্তব্যে সাংবাদিকদের সামনে ইসাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও গতিশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসাব’র সদস্যরা দেশের সার্বিক শিল্প-বাণিজ্য ও আবাসন খাতের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে।’
ইসাবের সেক্রেটারি জেনারেল এম মাহমুদুর রশিদ আন্তর্জাতিক এই এক্সপোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এবারের এক্সপোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে থাকছে ফায়ার সেফটি সলিউশন, সিকিউরিটি সলিউশন ও বিল্ডিং অটোমেশন। মেলায় ৩০টি দেশের শতাধিক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক এই এক্সপোতে অগ্নিনিরাপত্তা ও সমসাময়িক বিষয়ে চারটি টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি জানান, সেমিনারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অংশ নেওয়া যাবে। যারা সেমিনারে অংশ নেবেন তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হবে। প্রতিটি সেমিনারে ৮০০ জন অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও অগ্নিনির্বাপন ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য ফায়ার ফাইটারদের সম্মাননাও দেবে ইসাব। পাশাপাশি থাকছে লাইভ ফায়ার ডেমনস্ট্রেশন ও অন্যান্য আয়োজন।

অনুষ্ঠানে ইসাবের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেনঃ মোঃ ওয়াহিদ উদ্দিন- সহ-সভাপতি, এস এম শাহজাহান- সহ-সভাপতি, মোঃ মতিন খান- সহ-সভাপতি, মোহাম্মদ মাহমুদ সহ-সভাপতি, জাকির উদ্দিন আহমেদ – জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল, মোঃ কবির হোসেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, মোঃ মাহমুদ-ই-খোদা কোষাধ্যক্, মোঃ নজরুল ইসলাম প্রচার সম্পাদক, ইঞ্জি. মোঃ মনজুর আলম- পরিচালক, মোঃ মাহাবুর রহমান পরিচালক, মোঃ নূর-নবী-পরিচালক ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আল-এমরান হোসেন- পরিচালক
২১ থেকে ২৩ নভেম্বর ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৯:২৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
১৪০ বার পড়া হয়েছে

আগামী নভেম্বরে দেশে শুরু হবে ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো

আপডেট : ০৯:২৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

 

তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৩।আগামী ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রাঙ্গনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) এই বিশাল মেলার আয়োজন করছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের শিল্প-কারখানায় কীভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছে রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ভবিষ্যতে দেশের মধ্যে তৈরি হবে। সেজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার। এ জন্য কারখানার যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কোনো অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন নেই। প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইসাবের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর তার স্বাগত বক্তব্যে সাংবাদিকদের সামনে ইসাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও গতিশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইসাব’র সদস্যরা দেশের সার্বিক শিল্প-বাণিজ্য ও আবাসন খাতের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে।’
ইসাবের সেক্রেটারি জেনারেল এম মাহমুদুর রশিদ আন্তর্জাতিক এই এক্সপোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এবারের এক্সপোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে থাকছে ফায়ার সেফটি সলিউশন, সিকিউরিটি সলিউশন ও বিল্ডিং অটোমেশন। মেলায় ৩০টি দেশের শতাধিক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক এই এক্সপোতে অগ্নিনিরাপত্তা ও সমসাময়িক বিষয়ে চারটি টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি জানান, সেমিনারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অংশ নেওয়া যাবে। যারা সেমিনারে অংশ নেবেন তাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হবে। প্রতিটি সেমিনারে ৮০০ জন অংশ নিতে পারবেন। এছাড়াও অগ্নিনির্বাপন ও দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য ফায়ার ফাইটারদের সম্মাননাও দেবে ইসাব। পাশাপাশি থাকছে লাইভ ফায়ার ডেমনস্ট্রেশন ও অন্যান্য আয়োজন।

অনুষ্ঠানে ইসাবের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেনঃ মোঃ ওয়াহিদ উদ্দিন- সহ-সভাপতি, এস এম শাহজাহান- সহ-সভাপতি, মোঃ মতিন খান- সহ-সভাপতি, মোহাম্মদ মাহমুদ সহ-সভাপতি, জাকির উদ্দিন আহমেদ – জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল, মোঃ কবির হোসেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, মোঃ মাহমুদ-ই-খোদা কোষাধ্যক্, মোঃ নজরুল ইসলাম প্রচার সম্পাদক, ইঞ্জি. মোঃ মনজুর আলম- পরিচালক, মোঃ মাহাবুর রহমান পরিচালক, মোঃ নূর-নবী-পরিচালক ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আল-এমরান হোসেন- পরিচালক
২১ থেকে ২৩ নভেম্বর ফায়ার সেফটি এন্ড সিকিউরিটি এক্সপো সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।