০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ইরানের ‘কুখ্যাত’ ইভিন কারাগারে আগুন, গুলির শব্দ

প্রতিনিধির নাম

ইরানের ইভিন কারাগারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ইভিন কারাগার রাজনৈতিক বন্দীদের আটক করার প্রাথমিক স্থান। কারাগারটিতে রাজনৈতিক বন্দী, সাংবাদিক এবং বহু দ্বৈত ও বিদেশি নাগরিক বন্দী রয়েছেন।

এ সময় কারাগার থেকে সতর্কতামূলক সাইরেন ও গুলির শব্দও শোনা যায়। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কারাগার থেকে অগ্নিশখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে। খবর বিবিসির।

একজন কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের ঘটনায় ‘উত্তেজনা’ ও ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও’ দায়ী।

সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

এদিকে সরকার বিরোধী একটি গ্রুপ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাদের ভিডিওতে সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায়। তবে এসব খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

কারাগারের ভেতর থেকে ইরানের সরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তেহরানের গভর্নর দাবি করেছেন, ছোটখাটো অপরাধীদের একটি দল এই দাঙ্গা শুরু করেছে, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

কয়েকজন কারাবন্দীর পরিবার জানিয়েছে, অন্য সময়ে পারলেও তারা তাদের স্বজনদের সঙ্গে এখন টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কারাগারের আশেপাশের ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে ঘিরে চলা তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই ইরানের কারাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। এরপর অশান্ত হয়ে ওঠে ইরান। যা পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সেই বিক্ষোভ থেকে আটক শত শত লোককে ওই কারাগারেই রাখা হয়েছে।

এই কারাগার নিয়ে বহুদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ, কারাগারে বন্দীদের নির্যাতনের করার এবং অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখার মতো হুমকি দেয়া হয়।

সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও স্বাস্থ্য সেবা না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২
১৫১ বার পড়া হয়েছে

ইরানের ‘কুখ্যাত’ ইভিন কারাগারে আগুন, গুলির শব্দ

আপডেট : ১২:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

ইরানের ইভিন কারাগারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ইভিন কারাগার রাজনৈতিক বন্দীদের আটক করার প্রাথমিক স্থান। কারাগারটিতে রাজনৈতিক বন্দী, সাংবাদিক এবং বহু দ্বৈত ও বিদেশি নাগরিক বন্দী রয়েছেন।

এ সময় কারাগার থেকে সতর্কতামূলক সাইরেন ও গুলির শব্দও শোনা যায়। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কারাগার থেকে অগ্নিশখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে। খবর বিবিসির।

একজন কর্মকর্তার বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের ঘটনায় ‘উত্তেজনা’ ও ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও’ দায়ী।

সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

এদিকে সরকার বিরোধী একটি গ্রুপ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাদের ভিডিওতে সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায়। তবে এসব খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

কারাগারের ভেতর থেকে ইরানের সরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তেহরানের গভর্নর দাবি করেছেন, ছোটখাটো অপরাধীদের একটি দল এই দাঙ্গা শুরু করেছে, তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

কয়েকজন কারাবন্দীর পরিবার জানিয়েছে, অন্য সময়ে পারলেও তারা তাদের স্বজনদের সঙ্গে এখন টেলিফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কারাগারের আশেপাশের ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে ঘিরে চলা তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই ইরানের কারাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। এরপর অশান্ত হয়ে ওঠে ইরান। যা পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সেই বিক্ষোভ থেকে আটক শত শত লোককে ওই কারাগারেই রাখা হয়েছে।

এই কারাগার নিয়ে বহুদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ, কারাগারে বন্দীদের নির্যাতনের করার এবং অনির্দিষ্টকাল আটকে রাখার মতো হুমকি দেয়া হয়।

সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা ও স্বাস্থ্য সেবা না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।