দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে কয়রাতে আনন্দ মিছিল করেছে কয়রা উপজেলা শ্রমিক লীগ। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধা ৭ টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়া শুরু করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সারা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯ শে নভেম্বর বিকাল ৪:০০ টায় কয়রা উপজেলা শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মাস্টার আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল শুরু হয়। আনন্দ মিছিলটি কয়রা উপজেলা সকিনা মার্কেট, কলেজ মোড়, কোট চত্বরসহ অন্যান্য এলাকা প্রদিক্ষণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসেন। এসময় মিছিলের নেতাকর্মীরা সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিলে থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.মোশারফ হোসেন।

মিছিল শেষে সকিনা মার্কেটর মোাড়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় কয়রা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মাস্টার আব্দুল হালিম বলেন, কয়রা উপজেলা শ্রমিক লীগ যে কোন সময়ের থেকে এখন অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত। ঐ আগুন সন্ত্রাসীদের মানুষ বিস্বাস করে না। উন্নয়ন দেখেই মানুষ নৌকায় ভোট দিবে।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কয়রা থানা শ্রমিক লীগ এর প্রতিটি নেতাকর্মী শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ মাঠে থেকে পালন করবে।

সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে আমিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে বিএনপি ও জামাতের ডাকা হরতাল, অবরোধ মানুষ প্রত্যাখান করেছে। বিএনপি, জামাতের সকল ষড়যন্ত্রকে কয়রা থানা শ্রমিক লীগ রুখে দেবে। আগামী নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমারা লগি, বৈঠা নিয়ে মাঠে থাকব। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান, ও এস এম আলামিন (সাধারণ সম্পাদক), আশরাফুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেনসহ শ্রমিক লীগ এর অন্যান্য নেতাকর্মীরা,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আক্তারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠান শেষে, একান্ত সাক্ষাৎকারে শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন ঘূর্ণিঝড় মিধিলি এর কারণে কয়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ছিল এজন্য আমাদের আনন্দ মিছিলটি যথা সময়ে করতে পারেনি।